নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আইনি ভিত্তি ছাড়া এবং অর্ডারের ব্যাপারে নিশ্চয়তা ছাড়া যদি সনদে স্বাক্ষর করি, সেটা মূল্যহীন হবে। পরের সরকার এলে কীসের পরিপ্রেক্ষিতে দেবে, কী টেক্সট হবে; সে নিশ্চয়তা আমরা চাই। সেই বিষয়টা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা জুলাই সনদের স্বাক্ষরের যেই অনুষ্ঠান বা যেই আয়োজনটা চলছে, সেখানে আমরা নিজেরা অংশীদার হবো না।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ সনদ স্বাক্ষরের আগেই প্রকাশ করতে হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায় অনুসারে প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন। জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আগেই সনদ বাস্তবায়নের যে আদেশটা হবে সে আদেশের খসড়ায় আমাদের ঐকমত্য হতে হবে। তার উপর ভিত্তি করে আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়টা বিবেচনা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদেশের টেক্সট যেটা তার খসড়া আমরা আগে দেখতে চাই। ড. ইউনূস তিনি যেহেতু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শক্তিতে সরকার গঠন করেছেন সেই জায়গা থেকে সেটা প্রেসিডেন্ট নয় বরং গভর্নমেন্ট হিসেবে ড. ইউনূস জারি করবেন।’
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই সনদে ৮৪টি সংস্কারের বিষয় একত্রে গণভোটে যাবে। গণভোটে নোট অব ডিসেন্টের আলাদা কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। গণভোটের প্রশ্ন কি হবে তা আগেই চূড়ান্ত করতে হবে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গণভোট দ্বারা জনগণ সনদ অনুমোদন করলে অর্থাৎ সনদের পক্ষে ভোট দিলে পরের সংসদকে কনস্টিটিউট পাওয়ার ডেলিগেট করা হবে। সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করার জন্য এই দাবির সঙ্গে মোটামুটি সবাই এখন একমত। আমাদের কাছে কিন্তু এখনো স্পষ্ট হয়নি, এটার কী সংশোধনী হবে?’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা হারাচ্ছে। গায়ের জোরে একের পর এক সিদ্ধান্ত দিচ্ছে।’





