তিনি বলেন, ‘এতো ত্যাগ ভুলে গিয়ে যদি তারা আগামীতে ক্ষমতায় আসার জন্য আঁতাত ও সমঝোতা করে আমরা মনে তাহলে আগামীতে তারা মুখ দেখাতে পারবে না। তারা কোথায় সেইফ এক্সিট নিবে। মৃত্যু ছাড়া কোথাও কোনো সেইফ এক্সিট নেয়ার জায়গা নেই। উপদেষ্টাদের এতো বড় একটা দায়িত্বকে এড়িয়ে গিয়ে (স্কিপ করে) গিয়ে যদি কেউ সেইফ এক্সিটের কথা ভাবে যা সম্ভব না। দেশ থেকে পালায় যাবেন ওখানেও মানুষ আটকাবে।’
এ সময় সারজিস আলম বলেন, ‘কিছু উপদেষ্টা দায়সারা ভাবে নিজেদের দায়িত্ব পালন করে নির্বাচন দিয়ে বিদায় নিতে চাইছেন। এরপর তারা দেশ বা দেশের বাইরে যেখানেই থাক না কেন। এ দায়সারা দায়িত্ব নেয়ার জন্য গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী একটা সরকার কাজ করতে পারে না। শহিদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে যারা দায়িত্ব পালনে ভয় করছেন তাদের উপদেষ্টার দায়িত্ব নেয়া উচিত ছিলো না।’
আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগের উদ্দেশে সারজিস আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যেকোনো ভার্সন বাংলাদেশে তৈরির অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না। আওয়ামী লীগের ওই মন্ত্রী, এমপি, জেলা, উপজেলার যারা সভাপতি-সেক্রেটারি ছিল এরা প্রত্যেকেই ফ্যাসিস্ট কাঠামোর সঙ্গে জড়িত। তারা কি করছে প্রত্যেকেই ভালো করে জানে। আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা প্রত্যেকেই ফ্যাসিস্ট কাঠামোর সঙ্গে জড়িত। সুতরাং তাদের মধ্যে মন্দের ভালো খোঁজা, যারা একেক জন হাসিনাকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বানালো, সেই সুযোগ তাদেরকে দেয়া হবে না। বাংলাদেশের ভালো মানুষরা একত্রিত হয়ে যদি আরেকটি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় করুক, এতে আমাদের কোনো সমস্যা থাকবে না।’
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী) ইমরান ইমন, শহিদ ফাহমিনের মা কাজী লুলুন মাখমিম(শিল্পী) সহ জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে এনসিপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে অভ্যন্তরীন আলোচনা হয়।





