বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নির্বাচন থেকে কয়েকজন প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর আজ (বুধবার, ১ অক্টোবর) রাতে ইশরাক তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে করা এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন।
ইশরাক তার পোস্টে বলেন, ‘গত কয়েকদিন বিসিবি নির্বাচন নিয়ে অনেক কিছু বলার থাকলেও, নির্বাচনকে আরও প্রভাবিত না করার জন্য কোনো পাবলিক প্ল্যাটফর্মে কিছু লিখিনি। গণমাধ্যম যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও আমি কৌশলী ভূমিকায় ছিলাম। আজকে অল্প কয়েকটি কথা বলবো, কারণ ভিতরের-বাইরের সব কিছু খুলে বললে অনেকের পরনের প্যান্ট খুলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি হতে পারে।’
তিনি তার পোস্টে তিনটি পয়েন্ট উল্লেখ করে লেখেন—
১/ বিএনপির জ্যেষ্ঠ কয়েকজন নেতার ছেলেরা ক্রিকেট বোর্ডে আসতে চেয়েছিলেন দেশ ও জাতিকে কিছু দেয়ার উদ্দেশ্যে। আমাদের সকলের ভালোবাসা ও গৌরবের জায়গা ক্রিকেট। কিছু লোক এমনভাবে মন্তব্য করলো, যেন রাজনীতিবিদ অথবা তাদের পরিবারের সদস্যদের ক্রীড়া সংগঠক হওয়া হারাম। এ যেন বিশাল কোনো কেলেঙ্কারি/দুর্নীতি/আইনের লঙ্ঘন।
২/ যারা নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন, প্রত্যেককে আমি খুব ভালোভাবেই চিনি ও জানি। ক্রীড়া ক্ষেত্রে তাদের যথেষ্ট অবদান রয়েছে—তা সংগঠক হিসেবে অথবা অর্থায়নের মাধ্যমে। ক্লাবগুলো ওনাদের কাউন্সিলরশিপ দিয়েছে। সেখানে তাদের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বের করা খুবই সহজ।
৩/ বর্তমানে যাদেরকে আমরা কিংস পার্টি বলি, তাদের ইন্ধনে এখন উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় তাদের দলের নির্বাচিত কাউন্সিলর নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এজন্য ডিসিদের অকথ্য ভাষায় হুমকিও প্রদান করেছেন উপদেষ্টা।
তিনি লেখেন, যে প্রার্থীরা একেকজন অত্যন্ত যোগ্য, শিক্ষিত, ক্রিকেটপ্রেমী এবং অত্যন্ত সক্ষম। তারা কেবল ক্রিকেটকে ভালোবাসেন এবং সার্বিকভাবে ক্রিকেটে অবদান রাখার সুযোগ চেয়েছিলেন—তা জাতীয় এবং জেলা পর্যায় পর্যন্ত। যাই হোক, কোনোকিছুই চিরস্থায়ী নয়।
তিনি আরও লেখেন, বিশেষ করে একটি সম্পূর্ণ পূর্বনির্বাচনী পদ্ধতি ব্যবহার করে, নিজেদের কাউন্সিলর অন্তর্ভুক্ত করে এবং অন্যদের বৈধ কাউন্সিলরশিপ বাদ দিয়ে, বোর্ডে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতেই এত সব আয়োজন কিংস পার্টির তরফে সেই উপদেষ্টা করেছেন।
আরও পড়ুন:
আগামী বছর এই নাটকের দ্বিতীয় পর্ব আসতে পারে উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, ‘কতটুকু সফল হবে এবং কতটুকু টিকে থাকবে —কিছু মাসের মধ্যে দেখা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির পরিবারের সদস্যরা ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি অথবা অন্য যেকোনো পেশায় কেবল বৈষম্যের শিকার হয়েছেন ১৭ বছর যাবৎ। একটাই দোষ ছিল—বিএনপি পরিবার হওয়া। এখন এই সরকারের এক বা একাধিক উপদেষ্টা ওই হাসিনার কথার হুবহু কপি করছে। তারা বলে, বিএনপি লোকজন বিসিবিতে কী করে? বা ক্রীড়াঙ্গনে বিএনপির কী কাজ?’
সবশেষে তিনি সূরা বাকারার একটি আয়াত উল্লেখ করে লেখেন, মহান আল্লাহ তায়ালা চাইলে বিসিবিতে ওনারা কী করেন এবং ওনাদের কাজ কী, তা নিকট ভবিষ্যতে দেখা যাবে।





