বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সামগ্রিক তৎপরতায় সংগঠনের সুনাম, সুখ্যাতি, ঐতিহ্য, শৃঙ্খলা ও পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে, যা গঠনতন্ত্রের ধারা ৬২ এর উপধারা ২ (ক) ও (খ) এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ নিয়ে গত সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সাংগঠনিক কার্যক্রম (রুকনিয়াত) স্থগিতের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা মোজাম্মেল হক আকন্দ বলেন, ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি সুশৃঙ্খল দল। প্রতিষ্ঠার পর হতে অদ্যবদি পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ঊর্ধ্বে থেকে দলীয় শৃঙ্খলা অব্যাহত রেখেছে।’
আগামীতেও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলীয় শৃঙ্খলার ব্যাপারে আপোষহীন থাকবে বলেও জানিয়েছেন।
এর আগে গত শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ কামরুল হাসান মিলনের পরিবর্তন ও অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সমর্থনে ‘ফুলবাড়িয়া ঐক্যবদ্ধ জনতা’র ব্যানারে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন:
এ ব্যাপারে ফুলবাড়িয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির ফজলুল হক শামীম বলেন, ‘অধ্যাপক জসিম উদ্দিনের সাংগঠনিক কার্যক্রম সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলার চিঠি হাতে পেয়েছি।’
জামায়াত নেতা অধ্যাপক জসিম উদ্দিন এ ব্যাপারে এখন টিভিকে বলেন, ‘জামায়াতের নিয়ম অনুযায়ী কাউকে অব্যহতি দিলে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে হয়। সেই কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হলে তবে তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কোনো শোকজের চিঠি আমার কাছে এখনও আসেনি এবং জেলার কোনো নেতা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির কারণেই এমনটা হয়েছে, যা আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই মিটে যাবে আশা করি।’
তিনি বলেন, ‘গত শনিবার ফুলবাড়িয়া দলীয় প্রার্থী পরিবর্তনের যে মিছিলটি হয়, সেখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। দলীয় মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে আমি শুরু থেকে কাজ করছি।’





