আজ (শনিবার, ২২ মার্চ) দুপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত আট শহীদসহ দলীয় নেতাকর্মীদের পরিবারে নগদ টাকা ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরকত উল্লাহ বুলু এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, 'আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বড়ই করুণ। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে শেখ মুজিব পাকিস্তান হানাদার বাহিনী হাতে গ্রেপ্তার হননি। পরদিনের পত্রিকায় তার ধবধবে সাদা পিনপিনে পাঞ্জাবির পরা ছবি দেখে বুঝা যায় তিনি সেদিন নিজেকে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।'
আরো পড়ুন:
অন্যদিকে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দুটি নাবালক শিশু সন্তান নিয়ে ওই বছরের ২২ জুলাই গ্রেপ্তার করে পাকবাহিনী। আর বেগম মুজিব গভর্নর হাউজে গিয়ে তদবির করে ২৭ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভিআইপি কেবিনে মেয়ে শেখ হাসিনার ছেলে জয়ে প্রসব করান। এতে বুঝা যায় শেখ পরিবার নয় মেজর জিয়ার পরিবারই এদেশের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা বলেও জানান তিনি।
আরো পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, 'নোবেল জয়ের পর বেগম খালেদা জিয়া আপনার জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করতে বলেন আর শেখ হাসিনা তার বিরোধিতা করে। আপনি অনতিবিলম্বে অবাধ সুষ্ঠু সুন্দর জাতীয় নির্বাচন দিয়ে ইতিহাসে নিজের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখার ব্যবস্থা করেন।'
তিনি আরে বলেন, 'আমরা এ দেশে ধর্মীয় উগ্রপন্থীদর উত্থান দেখতে চাই না। এ দেশকে কোনো অবস্থাতে পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা সিরিয়া বানাতে দেওয়া হবে না। এদেশে ইসলামী রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছেন মেজর জিয়াউর রহমান। তার কাছে সবার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। আর যারা এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক স্বীকার করে না তাদের ভোট করা বা ভোটে দাঁড়ানোর কোনো অধিকার নেই।'
আরো পড়ুন:
চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপির সভাপতি জহির উদ্দিন হারুনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহসিন আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন, বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাখ্যা চন্দ্র দাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হক আবেদ প্রমুখ।
এতে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত বেগমগঞ্জের শহীদ ইফাত হোসেন, নিজাম উদ্দিন ইমন, বেলাল হোসেন রাফি, ডা. রুবেল, আবদুল কাইয়ুম আহাদ, আবদুল মোতালেব মুন্না, মো. সজীব ও আসিফ হোসেনসহ বিভিন্ন সময় পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র ও যুবদলের খুরশিদ আলম, মহীন ও রুবেলের পরিবারকে আর্থিক অনুদান, খাদ্য ও ঈদ সামগ্রী প্রদান করা হয়।