জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে যে সহিংসতা ও গণহত্যা চালিয়েছিলো শেখ হাসিনা সরকার, সে নৃশংসতায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্র-জনতা। গড়ে ওঠে 'হাসিনা হটাও'র এক দফার আন্দোলন। আরেকবার ছাত্রদের হাতেই পতন হয় স্বৈরাচারের।দেশ ছেড়ে পালান শেখ হাসিনা।
সেই ছাত্র জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের নতুন দল আসছে। তা নিয়েই কয়েকদিন ধরে সরগরম রাজনীতির মাঠ। সেই আলোচনার মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে এলো নতুন ছাত্র সংগঠনের ঘোষণা।
আজ বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরেন নতুন এই ছাত্র সংগঠনের রূপরেখা। তিনি বলেন, নতুন এই ছাত্র সংগঠনটি হবে মধ্যমপন্থী। যার শুধুই শিক্ষার্থীদের কথা বলবে। জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা হবে এই ছাত্র সংগঠনের শক্তি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের মৌলিক প্রস্তাবনাগুলো হলো ছাত্র সংগঠনটি হবে মধ্যমপন্থী।’
জুলাই অভুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে এই ছাত্রসংগঠনটির সম্পর্ক কেমন হবে? সাংবাদিকদের এমন বাকের মজুমদার বলেন, ছাত্র সংগঠনটি হবে সম্পূর্ণ লেজুড়বৃত্তি মুক্ত। তবে অন্য যারাই জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে রাজনীতি করবে তাদের সমর্থন দেবে দলটি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই আদর্শিক পজিশনের সাথে যেই রাজনীতি করবে তাকে সমর্থন দিয়ে যাবো। সেটা জাতীয় হোক অথবা ছাত্রদের লেভেলে হোক।’
স্টুডেন্ট ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট এই স্লোগান নিয়ে সোম ও মঙ্গলবার চলবে নতুন সংগঠনটির জনমত জরিপ ও সদস্য আহ্বান কর্মসূচি। শুরুতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোর দিকেই মনোযোগ দিতে চায় দলটি।