আওয়ামী লীগের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করতে হবে: আসাদুজ্জামান রিপন

রাজনীতি
0

ছাত্রলীগের মতো আওয়ামী লীগের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। আজ (বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে ফরিদপুর জেলা বিএনপির কাউন্সিল উপলক্ষে প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন তিনি।

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, 'খুনের রানী, গুমের রানী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হলে দেশে আরেকটি বিপ্লব হবে। আইয়ামে জাহিলিয়াত আওয়ামী লীগ তাদের কারোই জাতীয়তাবাদী দলে ঠাঁই হবে না।'

তিনি বলেন, 'ছাত্রলীগের মতো আওয়ামী লীগের রাজনীতিও নিষিদ্ধ করতে হবে। কথায় কথায় বলবেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করবেন, নিষিদ্ধ করছেন না কেন? বিএনপি না করেছে নাকি? কেন নিষিদ্ধ করছেন না, আইন তৈরি করেন। এখন তো পার্লামেন্টের প্রয়োজন নেই, শুধু প্রেসিডেন্ট একটা অধ্যাদেশ জারি করলেই হয়ে যায়, সেটা কেন করছেন না? আওয়ামী লীগকে জিইয়ে রাখবেন কার জন্য? ওই অপশক্তিকে কোনো উদ্দেশ্য ব্যবহার বা মতলব আছে কি না আমরা জানি না, সেই ধরনের মতলবের বিরুদ্ধে কিন্তু আমরা রুখে দাঁড়াবো।'

তিনি আরও বলেন, 'গত ষোল বছর যারা বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন করেছে সেই নিপীরকদের কেন আমরা দলে ঠাঁই দিবো? এদের বিএনপিতে কোনো ঠাঁই হবে না। কোনো ফ্যাসিস্টের সহযোগীদের পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করা হলে তাদের বিরুদ্ধেও আন্দোলন হবে লড়াই হবে। খবর পাচ্ছি স্বৈরাচারের সহযোগিরা নানাভাবে নানা দলে নানা স্থানে জায়গা নেয়ার চেষ্টা করছে।'

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেন, 'দেশি এবং বিদেশি ষড়যন্ত্র এখনও বাংলাদেশে চলমান রয়েছে। এখনও দেশকে অস্থিতিশীল করতে পাশের দেশসহ হাসিনার দোসররা সক্রিয় আছে। সেজন্য বিএনপিকে শক্তিশালী করতে হবে। আওয়ামী লীগের যারা রাতে আপনাদের ফোন দেয় তাদের ঘাড়ে নেয়া চলবে না।'

তিনি বলেন, 'দলের কোনো নেতাকর্মী দখলবাজি, চাঁদাবাজিতে জড়িত হলে দল কিন্তু তার দায়িত্ব নিবে না। যে করবে তাকেই দায়িত্ব নিতে হবে। এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে, জনগণের পাশে থাকতে হবে। আমরা সেই বাংলাদেশ দেখতে চাই যে বাংলাদেশের সংসদ হবে দুর্নীতিমুক্ত।'

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব একে কিবরিয়া স্বপনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম।

উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাংসদ খন্দকার নাসিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, জুলফিকার হোসেন জুয়েল, আজম খান, খন্দকার ফজলুল হক টুলু, আতাউর রশীদ বাচ্চু, দেলোয়ার হোসেন দিলা, গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন, রশিদুল ইসলাম লিটন সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

সভায় জেলা বিএনপির আগামী কাউন্সিলে নেতা নির্বাচনের পদ্ধতি ও করণীয় সম্পর্কে বক্তাগণ দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন। সভায় জেলা সদর সহ উপজেলার নেতাকর্মীরা যোগ দেন।

এসএস