মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, 'ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজনৈতিক দলগুলোর অনেক অবদান ছিল। আমরা রাজনৈতিক দলের নেতারা গত তিনটা নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে পারিনি। বহু লোক জীবন দিয়েছে, বহু লোক নিহত হয়েছে, মামলা হয়েছে। আমাদের দেশের তরুণ ছাত্ররা, সেই আন্দোলন তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। আমাদের সন্তানরা সেই আন্দোলন জীবন দিয়ে রক্ত দিয়ে সফল করেছে।'
তিনি বলেন, 'জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। কেউ কেউ আওয়ামী লীগের ভাষায় কথা বলছে। ফ্যাসিবাদের লোকেরা জামায়াতে ইসলামীকে যেভাবে নির্মূল করতে চেয়েছিল, তাদের মুখে এখন ফ্যাসিবাদের সেই গন্ধ পাওয়া যায়। এই পথ সর্বানাশার পথ। ফ্যাসিবাদের যুগের অবসান হয়েছে। একটি জাতীয় ঐক্যের ভিক্তিতে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে আসুন অনৈক্য—বিভেদ, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কোনো ভূমিকা না নিয়ে ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য আগস্টের মূল চেতনাকে ধারণ করে আমরা একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাই।'
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, 'বিগত সাড়ে ১৫ বছরে বাংলাদেশে সংঘঠিত সকল হত্যার মাস্টারমাইন্ড ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। জুডিশিয়াল কিলিং করে নিরপরাধ মানুষকে নির্বিচারে হত্যা, দিনের ভোট রাতে দেয়া, নিরপরাধ মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানিসহ যত মানবতাবিরোধী কর্মকান্ড সংঘটিত হয়েছে, সবকিছুই জালিম শেখ হাসিনার নির্দেশে হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'নির্বাচনের আগে সকল মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সম্পন্ন করতে হবে। জুলাই-আগস্টে যারা জীবন দিয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন আমরা তাদের কাছে ঋণী। তাদের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। আজকে আমরা যে বাংলাদেশ পেয়েছি, যাদেরকে শহীদ করা হয়েছে তারাও সেই বাংলাদেশ চেয়েছিলেন। সুতরাং সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার হতেই হবে।'
জুডিশিয়াল ক্যু করে জামায়াত নেতাদের ফাঁসি দেয়া হয়েছে। সেই জুডিশিয়াল ক্যু'র সাথে যারা জড়িত ছিল, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
কর্মী সভায় উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মো. মফিদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অধ্যাপক ইদ্রিস আলী সঞ্চালনা কলেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ মুহাঃ ইজ্জতউল্লাহ, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য মুহাদ্দিস রবিউল বাশার, সাতক্ষীরা জামায়াতের আমীর উপাধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম মুকুল, নায়েবে আমীর ডা. শেখ মাহমুদুল হক, জেলা সেক্রেটারী মাওলানা আজিজুর রহমার, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক গাজী সুজায়েত আলী, সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক ওমর ফারুক।
এ সময় সাতক্ষীরা জেলা ও তালা উপজেলা জামায়াতের হাজার হাজার নেতা কর্মীরা অংশ নেয়।