রাজনীতি
0

'জনগণকে বাদ দিয়ে কিছু করা যাবে না, ন্যূনতম সংস্কারের পরই নির্বাচন চায় বিএনপি'

সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে মতভেদ দূর করতে ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ বিষয়ক সংলাপে অংশ নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণকে বাদ দিয়ে কিছু করা যাবে না, ন্যূনতম সংস্কারের পরই নির্বাচন চায় বিএনপি। আর পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্য বিনষ্ট হচ্ছে উল্লেখ করে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যথাযথ সংস্কারে সময় দিতে প্রস্তুত তারা। এ সময় সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান ও উপদেষ্টাদের মত, চলমান সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা রক্ষা সম্ভব হবে না।

কর্তৃত্ববাদী হাসিনা সরকারের পতনের পর সংসদ ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন- এরপর থেকেই রাষ্ট্রের সংস্কার ও নির্বাচন ইস্যুতে দেশজুড়ে আলোচনা তুঙ্গে। এ নিয়ে রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে গণ-অভ্যুত্থানের অংশীজনদের মধ্যে চলছে মতামতের লড়াই।

নির্বাচন ও সংস্কার কেন্দ্রিক মতভেদ দূর করে জাতীয় ঐক্যমত্য গঠনে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে 'ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন' শিরোনামে ফ্যাসিবাদবিরোদী সব রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের নিয়ে সংলাপ আয়োজন করে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্ট্যাডিজ।

সংলাপে অংশ নিয়ে সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান ও উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, চলমান সংস্কারে রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন হলে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা রক্ষা সম্ভব হবে না। এসময় ঐক্যের সাথে ষড়যন্ত্র প্রতিহতের জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তারা।

সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান আলী রীয়াজ বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পথ ও পদ্ধতি রক্ষা না করে নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে সামগ্রিকভাবে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষা করা যাবে না।’

গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, ‘খালি ঐক্যের কথা বললাম আর প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত থাকলাম না তা করা যাবে না। তাই নিয়ন্ত্রণটা ছেড়ে দেয়া যাবে না। কারণ নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিলে তা আপনাদের হাতের বাহিরে চলে যাবে।’

সংলাপে অংশ নিয়ে, দেশ জটিল রাজনৈতিক সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। বলেন- ন্যূনতম সংস্কারের পর বিএনপি নির্বাচন চায়- তবে জনগণকে বাদ রেখে কিংবা তাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে কিছু করা যাবে না।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যেটুকু সংস্কার প্রয়োজন সেটুকু সংস্কার করে আমরা নির্বাচনে যেতে চাই। জনগণকে বাদ দিয়ে কোনো কিছু করা যাবে না।’

অপরদিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যথাযথ সংস্কারে সময় দিতে জামায়াত প্রস্তুত। রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি বক্তব্য জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করছে বলেও মন্তব্য দলটির সেক্রেটারি জেনারেল।

জামায়াতের সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘একটা নির্বাচনের যেসব সংস্কার প্রয়োজন সেগুলো হতে দিতে হবে তারপরে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।’

দু'দিনের সংলাপের প্রথম দিনে- অন্তর্বর্তী সরকারের ৭ উপদেষ্টা, ২০ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার গণম্যান্য ব্যক্তিরা অংশ নেবেন। সমাপনী দিনে অংশীজনদের ঐক্যমত্য নিয়ে প্রকাশিত হবে ঘোষণাপত্র।

এএম