‘ভারত ও বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক বিষয়ে’ শিরোনামে ইংরেজিতে লেখা এ পোস্টে তিনি বলেন, ‘ভারতের উচিত পোস্ট-’৭৫ প্লেবুক পাল্টে বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা। এটা ‘৭৫-পরবর্তী পরিস্থিতি নয়।’
মাহফুজ আলম বলেন, ‘ভারতের উচিত দ্ব্যর্থহীনভাবে বাংলাদেশে জুলাই অভ্যুত্থান এবং ছাত্র-জনতার গণতান্ত্রিক সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেয়া। এটি দিয়েই শুরু করতে হবে। জুলাই অভ্যুত্থানকে পাশ কাটিয়ে নতুন বাংলাদেশের ভিত রচনা করা হলে তা দুই দেশের সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হবে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লব ছিল একটি গণতান্ত্রিক, প্রজন্মভিত্তিক ও দায়িত্বশীল সংগ্রাম। আর এই সংগ্রাম চলবে দীর্ঘ সময় ধরে। বাংলাদেশি জনগণ আগের মতো নেই, তারা এখন ঐক্যবদ্ধ ও মর্যাদাবান। তারা মরার আগ পর্যন্ত তাদের মর্যাদার জন্য লড়াই করবে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলার এই অংশে ভারতপ্রেমী বা ভারতীয় মিত্ররা ভাবছে যে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যাবে এবং জুলাই বিপ্লব এবং ফ্যাসিবাদীদের নৃশংসতাকে এড়িয়ে গেলে তাদের কিছুই হবে না। এটা একটা ভুল ধারণা। মানুষ সব দেখছে!’
ভারতীয় সংস্থা জুলাই বিপ্লবকে কিছু জঙ্গি, হিন্দু-বিরোধী, এবং ইসলামপন্থিদের ক্ষমতা দখল হিসাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছে- উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু তাদের অপপ্রচার ও উসকানি ব্যর্থ হচ্ছে।’
উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, ‘দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা, ঢাকা!’ ও ‘স্বদেশ না শাহাদাত!’- এ শ্লোগানগুলো বাংলাদেশকে একক অঙ্গে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য এদেশের প্রতিটি কোণে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।
তিনি সতর্ক বাণী উচ্চারণ করে বলেন, ‘আর ভারত যেন এই ঐক্যবদ্ধ, মর্যাদাবান ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে তার শত্রু মনে না করে।’
দীর্ঘ প্রায় দুই দশক পর বাংলাদেশের জনগণ বিনা বাধায় গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করছে-উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সত্য এসেছে, মিথ্যা ধ্বংস হবে। চিরকাল!’
উপদেষ্টা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘৭১-এর পর রাষ্ট্র হিসেবে আমরা ব্যর্থ হয়েছিলাম, কিন্তু এবার নয়!’ —বাসস