কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
0

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কৃষি প্রণোদনা বাড়ানোর তাগিদ চাষিদের

ময়মনসিংহের মাঠে মাঠে অগ্রহায়ণের পাকা ধান। আর সেই ধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষক। তবে আকস্মিক বন্যায় এবার জেলার ক্ষতি ২৬ হাজার ৯০ হেক্টরের রোপা আমন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কৃষি প্রণোদনা বাড়ানোর তাগিদ কৃষকদের।

অগ্রহায়ণের মধ্য দুপুর। চলছে ধান কাটার বিরতি। ক্লান্তি দূর করতে সুরের খেলা জমেছে কৃষক আবদুল করিম মিয়ার গলায়।

ময়মনসিংহে প্রত্যন্ত জনপদের চারপাশে টইটম্বুর আমন ধান। সেই কাকা ডাকা ভোর থেকেই ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকরা। মাঠে ধান কাটা উৎসব। মিশে আছে কৃষকের শ্রম আর ঘামে মাখা বিষাদও।

তিন সন্তানের পিতা গোলাম মোস্তফা, এবার নীচু ১০ কাঠা জমিতে আবাদ করেছিলেন আমন ধান। তবে সবশেষ বন্যায় পুড়েছে কপাল। সারা বছরের খাবারের জোগাড় নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা। অন্যের জমিতে ধান কেটে আপাতত মিটছে রুটি-রুজির জোগান।

এবার আকস্মিক বন্যার কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ময়মনসিংহের ধোবাউড়া, হালুয়াঘাটসহ কয়েকটি উপজেলার ফসলি জমি। এছাড়া অনেক ধান খেত রেহাই পায়নি পোকার আক্রমণ থেকে। এ অবস্থায় বেড়েছে কৃষি উপকরণের দাম। তাই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় কৃষি প্রণোদনা বাড়ানোর তাগিদ চাষিদের।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে বোরো মৌসুমে সার, বীজ, সরিষাসহ বিভিন্ন প্রণোদনা দেয়ার কথা বলছে কৃষি বিভাগ।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আবু রায়হান বলেন, ‘আমরা এবার বোরো মৌসুমে প্রণোদনা হিসেবে সরকারিভাবে কৃষি বিভাগ থেকে হাইব্রিড বীজ দেয়া হচ্ছে। আমরা আশা করছি এতে করে আমনের ক্ষতিটি আমরা পুষিয়ে উঠতে পারব।’

ময়মনসিংহে এবার রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯০ হেক্টর। ক্ষয়ক্ষতি বাদে ২ লাখ ৬২ হাজার হেক্টরের ধান পাবেন কৃষকরা।

এএম