নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার ঠাকুর-লক্ষ কুল গ্রামের কৃষক সায়েদ আলী। এবার ৭ বিঘা জমিতে আবাদ করেন উচ্চফলনশীল রোপা আমন ধান। ভালো ফলনের পাশাপাশি এবার সেচ খরচ কমায় খুশি তিনি।
বৃষ্টিনির্ভর রোপা-আমন আবাদের শুরুতে খরায় কিছুটা বেগ পেতে হলেও পরে পর্যাপ্ত বৃষ্টিতে কমিয়ে দেয় সেচ খরচ। এতে বিঘাপ্রতি সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা খরচ করে মিলছে ১৬ থেকে ১৮ মণ। আর বর্তমানে প্রতি মণ ধানের দাম মিলছে ১৩শ' থেকে ১৪শ' টাকা।
এদিকে গেল দুই সপ্তাহ ধরে বাড়ছে সব ধরনের চালের দাম। তবে, নতুন এই ধান বাজারে উঠলে এক সপ্তাহের মধ্যে দাম কমে আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
চলতি বছর জেলায় ৭৬ হাজার ৮৭৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১ হাজার ৮শ' হেক্টর বেশি। সবকিছু ঠিক থাকলে যেখান থেকে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮০৩ টন ধান উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের।
নাটোরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘এবার ধান রোপণ ও রোপণ পরবর্তীতে সময়ে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা থাকে সেটা আমরা অতিক্রম করেছি। কৃষকরা উৎসাহ ও আনন্দ নিয়ে ধান কাটা শুরু করেছে, ফলনও বেশি পাচ্ছি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে কৃষকরা এবার আধুনিক জাত ও সুষম সার ব্যবহার করছে। এর পাশাপাশি এবার রোগ পোকামাকড়ের উপদ্রব অনেক কমছিল।’
অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ধান কাটা উৎসব শুরু হলেও নাটোরের মাঠে মাঠে এখনো শোভা পাচ্ছে সোনালী ফসল। কাঁটা মাড়াইয়ের পর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব ধান চলে যাবে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।