পাহাড় আর হাওর বিস্তৃত নেত্রকোণায় ধান আবাদের পর কৃষকদের আয়ের অন্যতম উৎস পশু পালন। যা থেকে কিছুটা বাড়তি উপার্জিত টাকায় সংসারের খরচ মেটে।
তবে গেল মাসের আকস্মিক বন্যায় একদিকে যেমন ধানের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অন্যদিকে পশু পালনে প্রয়োজনীয় খড়ও পচে গেছে। এতে দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের সংকট। আর এমন অবস্থায় বাড়তি খাবারের খরচ মেটাতে না পেরে অনেকেই এখন বিক্রি করে দিচ্ছেন গবাদি পশু। এই যেমন, কৃষক আবুল কালাম। চার মাস আগে একটি ফ্রিজিয়াম জাতের গাভী কিনেছিলেন। তবে বর্তমানে পশু পালনের খরচ বাড়ায় গাভীটি হাটে তুলতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। আবুল কালামের মত একই অবস্থা যেন প্রায় কৃষকেরই। তবে বেচাকেনা বাড়লেও সেই তুলনায় কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছেন না কৃষক ও খামারিরা।
জেলার অন্যতম বড় সীমান্তবর্তী সাপ্তাহিক হাট দুর্গাপুরের শিবগঞ্জ বিভিন্ন স্থান থেকে পশু নিয়ে আসেন কৃষক ও খামারিরা। পাইকারের হাত ধরে যা চলে যায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। হাটে ছোট থেকে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। বিশেষ করে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকার মধ্যে পশুর বিক্রয় হচ্ছে বেশি। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কথা মাথায় রেখে হাটের ইজারা কর মওকুফ করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে হাটের বেচাকেনায়।
নেত্রকোণার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুরের শিবগঞ্জ সাপ্তাহিক প্রতিহাট লেনদেন হয় অর্ধ কোটি টাকার বেশি।