ঝালকাঠির বিসিক শিল্প নগরীর উদ্বোধন হয় ২০১৯ সালে। উদ্বোধনের পর ৫ বছর কেটে গেলেও তেমনভাবে গতি নেই কার্যক্রমে।
শিল্পনগরীটির মোট ৭৯টি প্লটের মধ্যে বরাদ্দ দেয়া হয় ৭৩টি প্লট। তার মধ্যে বরাদ্দ পাওয়া ৮টি প্রতিষ্ঠান প্লট নিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় তা বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। সব মিলিয়ে ৬৫ টি প্লট পায় মোট ২১ টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ফরচুন নামে একটি প্রতিষ্ঠানকেই দেয়া হয় ২৫ টি প্লট। তারা এখনো কোনো স্থাপনা নির্মাণের কাজই শুরু করতে পারেনি।
বর্তমানে উৎপাদনে যেতে সক্ষম হয়েছে মাত্র ৭টি প্রতিষ্ঠান। অধিকাংশ প্লটই এখনো ফাঁকা পড়ে রয়েছে। পদ্মা সেতু চালুর পর বিসিক শিল্প নগরী যেমনভাবে জমে উঠবে বলে ধারণা ছিল তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। তবে, সুদমুক্ত ঋণ ও পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করলে এ শিল্প নগরী জমে উঠবে বলে দাবি উদ্যোক্তাদের।
শিল্প উদ্যোক্তাদের একজন বলেন, ‘কারখানার কার্যক্রম থাকলেও বিসিকের যে ধরনের সুযোগ সুবিধা ছিল সে ধরনের সুবিধা আমরা এখনো পাচ্ছি না।’
বিসিক কর্তৃপক্ষ বলছে, উদ্যোক্তারা বিচার-বিশ্লেষণ না করে প্লট নেয়ায় এমনটি হয়েছে। তবে শীঘ্রই বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাজ শুরু হবে।
ঝালকাঠি বিসিকের উপব্যবস্থাপক আলী আসগর নাসির বলেন, 'উদ্যোক্তারা বিচার-বিশ্লেষণ না করে প্লট নিয়েছেন। তারা আসলে বুঝতে পারছে না কোন ধরনের ব্যবসা করলে তাদের লাভ হবে। যারা ফলে তাদের এই সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা তাদেরকে টেকনিক্যাল সার্পোট দিয়ে যাচ্ছি।'
বিসিককে ব্যবসাবান্ধব নগরী হিসেবে গড়ে তোলা গেলে বেকারত্ব কমবে পাশাপাশি প্রসারিত হবে জেলার বাণিজ্য।