কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
0

পটুয়াখালীতে আবাদহীন ১৪ হাজার হেক্টর জমি, পিছিয়ে কৃষি অর্থনীতি

দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালী ধান উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও জলবায়ুর কারণে দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে এখানকার অর্থনীতি। জলাবদ্ধতায় অনাবাদি হয়ে পড়েছে জেলার ১৪ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। এতে ব্যাহত হবে আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা, অন্যদিকে পিছিয়ে পড়বে এখানকার কৃষি অর্থনীতি। এতে দুশ্চিন্তায় জেলার হাজারো কৃষক।

পটুয়াখালীর প্রধান ফসল ধান। যে পেশায় জড়িত জেলার প্রায় ৮০ ভাগ মানুষ। কাগজ কলমে এখানকার কৃষি এগিয়ে থাকলেও বাস্তবে তা ভিন্ন। চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৯০ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। বিপরীতে আবাদ হয়েছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে।

তবে চলতি বছর অতি বৃষ্টিতে জেলার জলাবদ্ধতায় অনাবাদি হয়ে পড়েছে ১৪ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। বেড়িবাঁধ না থাকায় সবচেয়ে বেশি অনাবাদি জমির পরিমাণ বাউফলের কাছিপাড়ায়। এতে ব্যাহত হবে আগামী আমন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা। এতে কৃষি অর্থনীতিতে পিছিয়ে পড়ছে এই জনপদের মানুষ।

কৃষকদের মধ্যে একজন জানান, রাস্তার দুই পাশেই হাজার হাজার আবাদি জমি আছে কিন্তু চাষাবাদ হয় না। বীজ পঁচে গেছে। আর জমিতে কীভাবে কাজ করবো জমি থেকে পানি নামে না।

আরও একজন জানান, জীবনে এত বৃষ্টি দেখি নাই । ধান এর বীজ সব নষ্ট হয়ে গেছে।

পটুয়াখালীর জেলা কৃষি অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে বেশ কিছু এলাকা আছে নীচু, যেখানে কৃষকরা আবাদ করতে পারেনি। কারণ এ বছরে ভারি বৃষ্টিপাত এবং নদীর পানি অবাধে ওঠা-নামার জন্য তাদের পক্ষে আমন আবাদ করা সম্ভব হয়নি।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, তেঁতুলিয়া ও কারখানা নদীর উপরে বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয়ার কাজ চলমান রয়েছে। এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে শুরু হয়েছে কাজ। এছাড়া বেশ কিছু খাল ভরাট হয়েছে। যা খননের পর জলাবদ্ধতা কমবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন এ কর্মকর্তা।

পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘আমরা কিছু উদ্যোগ নিয়েছি। যে খালগুলো অনেকদিন ধরে খনন করা হয়নি সেগুলো পুনঃখনন করতে পারি। সেক্ষেত্রে জলাবদ্ধতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।’

গেল অর্থবছরে এই জেলায় ১ লাখ ৯০ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। যার সম্পূর্ণ জমিতেই ধানের আবাদ হয়।