পুরো অর্থবছর রাষ্ট্র চলতে কত টাকা খরচ হবে, টাকার যোগান হবে কীভাবে আর ঘাটতি থাকবে কত সব কিছুই বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সংসদে পেশ করা হয়েছে। প্রতিটি পরিবারও এই জমা খরচ ইজার ওপর চলে।
আর বাজারে এলে এই জমা খরচের হিসাব মেলে না অনেকসময়। শুক্রবারের বাজারে যেন হিসাব মেলানো আরও কঠিন।
দু-দিন আগেও পটল, ঢেড়স বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, আজ তা ১০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো-শসা সেঞ্চুরি পার করলেও কাঁচামরিচ হাঁকিয়েছে ডাবল সেঞ্চুরি।
ক্রেতারা বলেন, আমাদের আয়ের থেকে সংকুলান হচ্ছে না। তাই চাইলেই সব চাহিদা অনুপাতে পণ্য কিনতে পারছি না। বাজারে সবকিছুর দাম বেশি। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার নিয়ে টিকে থাকা কষ্ট হয়ে যাবে।
বিক্রেতারা সরবরাহ সংকটকে দায়ী করলেও রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক আছে।
এক বিক্রেতা বলেন, 'গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে সবকিছুর দামই বেশি। আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়েছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতেছি।'
বাজেটে আলু, পেঁয়াজ, রসুনসহ বেশ কয়েকটি নিত্যপণ্যের উৎসে কর কমানোর আভাস মিললেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এদিন আলু বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, রসুন ২০০ টাকায়।
স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। প্রায় সব ধরনের মাছে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০-৫০ টাকা। বিক্রেতাদের অজুহাত, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। আর ক্রেতারা বলছেন বাজেট ঘোষণা হলেই দাম বাড়ানোর বাড়তি সুযোগ পায় বিক্রেতারা।
মন্দের ভালো যেন মুরগির বাজারে। কোরবানি ঈদের আগে চাহিদা কমেছে মুরগি আর গরুর মাংসের। সপ্তাহবাদে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, সোনালী ৩৩০, দেশি মুরগি ৬৩০-৪০ টাকায়। গরুর মাংসের দোকানে ক্রেতা নেই বললেই চলে।