তবে খাসির মাংসের দাম কমানোর দাবি জানিয়েছে ক্রেতারা। এদিকে বৃষ্টির প্রভাবে বাজারে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম বেড়েছে।
৬৫০ টাকা প্রতি কেজি দাম নির্ধারণের পর বাজারে গরুর মাংসের চাহিদা বেড়েছে। এতে ভোক্তারা মাংসের দোকানগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। কিন্তু কিছুদিন আগেও কোন কোন দোকানে ৬০০ টাকা দরে মাংস বিক্রি হয়েছে। আবার কোন দোকানে নির্ধারিত দামও মানা হচ্ছে না।
গরুর মাংস বিক্রেতা মনজুর হোসেন বলেন, ‘সারাদিনেও যে বেচাকেনা হতো না এখন কয়েক ঘণ্টায় তা হচ্ছে।’
এক মাংস ক্রেতা বলেন, কমবেশি হলেও বাচ্চাদের জন্য কিনতে হয়। এখন কম দামে মাংস কিনতে পারছি।
মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা বলেন, বেশি দামে কেউ গরুর মাংস বিক্রি করতে পারবেন না। তবে কম দামে বিক্রি করতে পারবেন। আর কেউ অতিরিক্ত দামে বিক্রির অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। আর সোনালী মুরগি ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, গরুর মাংসের মতো মুরগির দামেও লাগাম টানতে হবে।
শীত মৌসুম হলেও বাজারে সবজির দাম বেশি। প্রতি কেজি আলু ৭০, সিম ৫০, টমেটো ১০০ ও ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাজারে পেঁয়াজের দাম এখনও বাড়তি। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায় আর ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ভারত থেকে রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় পণ্যটির দাম আরও বাড়বে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।