অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুধু বইপ্রেমীদের মিলনমেলাই নয়, কারো কর্মসংস্থান, কারো শখ, কারো বা বইয়ের সাথে বন্ধুত্বের মুহূর্তগুলো উপভোগের বিষয়ও বটে।
স্টলগুলোতে বই বিক্রি, পাঠকদের পরামর্শ দেয়া আর পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন এই তরুণ বিক্রয় কর্মীরা।
একজন বিক্রয়কর্মী বলেন, ‘বইমেলায় কাজ করলে অনেক নতুন নতুন বইয়ের সাথে পরিচিত হওয়া যায়। কিছু লেখক নতুন, তাদের সাথে পরিচিত হতে ভালো লাগে। অনেক কিছু শেখার আছে এখান থেকে।’
বইমেলায় তরুণ বিক্রয় কর্মীদের উপস্থিতি শুধু বই বিক্রির জন্যই নয়, বরং বই পড়ার সংস্কৃতি গড়ে তুলতেও ভূমিকা রাখছে। এছাড়া কর্মজীবনের বন্ধুর পথকেও মসৃণ করে এই অভিজ্ঞতা।
একজন শিক্ষার্থী ও বিক্রয় কর্মী বলেন, ‘পড়াশোনার পাশাপাশি আমার সময় থাকলে, ক্লাস না থাকলে, পরীক্ষা না থাকলে, আমি ফ্রি থাকলে অবশ্যই আমি বইয়ের সাথে কাজ করার জন্য থাকবো আগামী বছর।’
প্রকাশকরা বলছেন, তরুণরা বই নিয়ে উৎসাহী এবং পাঠকের সাথে সহজেই যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে। এছাড়া প্রযুক্তি জ্ঞানে এগিয়ে থাকায় অনলাইন প্রোমোশন এবং আধুনিক লেনদেন ব্যবস্থায় ভালো করছে তরুণরা। প্রকাশকদের সাথে সুর মিলিয়েছেন ক্রেতারাও।
একজন ক্রেতা বলেন, ‘ওরা আসলে খুব ভালো বোঝাতে পারে। ওদের স্টল এবং বই সম্পর্কে ভালো জ্ঞান তারা রাখে।’
ভাষা চিত্র প্রকাশনের স্বত্বাধিকারী মৌসুমি খন্দকার বলেন, 'আমরা যখন স্টলের জন্য যখন বিজ্ঞাপন দেই তখন দেখি বেশিরভাগই শিক্ষার্থীরা, তরুণ-তরুণীরা আগ্রহের সাথে অ্যাপ্লাইটা করে।'
তরুণদের হাত ধরে সমৃদ্ধ হচ্ছে বইয়ের জগত। প্রাণবন্ত বইমেলায় তরুণরা যেন প্রাণচাঞ্চল্যের প্রতীক।