পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক বিশিষ্ট লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. মোহাম্মদ আজম।
বাংলা কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পেয়েছে চারজন, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার তিনজন, রচনা প্রতিযোগিতায় তিনজন, উপস্থিত বক্তৃতায় একজন, দলীয় নাচের প্রথম স্থান অর্জন করেছে এ ক্যাটাগরিতে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল বাংলাদেশ এবং বি ক্যাটাগরিতে মাস্টারমাইন্ড ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল। এছাড়া কবিতা আবৃত্তিতে তিনজন এবং সঙ্গীতে ছয় জন প্রথম পুরস্কার পেয়েছে।
আদিলুর রহমান খান বলেন, 'এ দেশের মানুষ নিজেদের মর্যাদা রক্ষার জন্য জীবন দিয়েছে, ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে। আমাদের উচিত হবে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা তৈরি করা, মানুষের মধ্যে বৈষম্য দূর করা।'
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, 'বাংলা অলিম্পিয়াড নিজের বৈশিষ্ট্যেই বিশিষ্টতা অর্জন করেছে। বাংলা একাডেমির পরিচালক হিসেবে এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ আমার দায়িত্ব।'
তিনি বলেন, 'ভাষা নিয়ে শুধু একটি নির্দিষ্ট মাসে আবেগ প্রকাশ করা ভাষাচর্চার জন্য যথেষ্ট নয়। মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যদি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি চর্চায় এগিয়ে আসে, তাহলে দেশের জন্য বিরাট উপকার হবে, মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্ত শ্রেণি উপকৃত হবে।'
তিনি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে প্রমিত বাংলা শেখানোর ব্যাপারে আরও গুরুত্ব দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশের প্রিন্সিপাল রোকসানা জারিন এবং চেয়ারম্যান টিমোতি ডোনাল্ড ফিশার।
টিমোতি ডোনাল্ড ফিশার বলেন, 'বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস নিয়ে আমাদের বাংলা অলিম্পিয়াড। আমরা এ দেশের সংস্কৃতিকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে চাই।'
প্রিন্সিপাল রোকসানা জারিন বলেন, 'এরই মধ্যে বাংলা অলিম্পিয়াড ইংরেজি স্কুলগুলোর জন্য একটি জাতীয় প্রতিযোগিতায় পরিণত হয়েছে। শুধু জাতীয় নয়, আমি বলব, বাংলা অলিম্পিয়াড ছড়িয়ে পড়ছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও। প্রতিবছরই দেশি শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন স্কুলের বিদেশি শিক্ষার্থীরাও বাংলা অলিম্পিয়াডে যোগ দিচ্ছে।'
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সুজিত মোস্তফা, শাহীন সামাদ, প্রিয়াঙ্কা গোপ, তানভীর আলম সজীব, আজিজুর রহমান তুহিন, নৃত্যশিল্পী জুয়াইরিয়া মৌলি, শান্তা শাহরিন, চিত্রশিল্পী প্রফেসর মো. আলপ্তগীনসহ অনেকে।
ইন্টারন্যাশনাল হোপ স্কুল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি এ স্কুলটি সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।