পটুয়াখালীর আন্ধারমানিক নদে দুই বছর ধরে চলছে কোরাল মাছ চাষে গবেষণা। এ কাজে প্লাস্টিকের ড্রাম, জাল, জিআই পাইপ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভাসমান ছয়টি খাঁচা।
ইতোমধ্যে গবেষণায় সফলতাও এসেছে। এ পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাবারের পাশাপাশি মাছের ওজনের ভিত্তিতে ৫ শতাংশ পুষ্টিকর সম্পূরক খাবার দেয়া হয়। যার মাধ্যমে অল্প সময়েই বাজারজাত করার উপযোগী হয় কোরাল।
২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে 'সাস্টেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টটি'র গবেষণা চলবে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষকরা মাছের আবাসস্থল নিরাপদ কিনা, পানির দূষণ ও গুণগতমান যাচাইয়ে কাজ করছেন।
দিন দিন উপকূলীয় অঞ্চলে পুকুর ও ঘেরে কোরাল চাষীর সংখ্যা বাড়ছে। কেউ কেউ কার্প জাতীয় মাছের সাথেই শুরু করেছেন এটির চাষ। ভাল লাভ হওয়ায় প্রযুক্তি ও কারিগরী জ্ঞান নিয়ে কোরাল চাষে সাবলম্বী হচ্ছেন অনেকে।
পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার মৎস্য গবেষনা উপকেন্দ্রের উধ্বর্তন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আশরাফুল হক জানান, 'মৎস্য চাষী এবং ঘের মালিকরা আগ্রহী হয়ে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে মৎস্য গবেষণা উপকেন্দ্র থেকে তাদের কারিগরী সহায়তা দেয়া হয়ে থাকে। কোরাল মাছ চাষের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই অনেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন।'
খাঁচায় চাষ করা প্রতিটি কোরাল দেড় কেজি থেকে দুই কেজি ওজনের হয়ে থাকে। প্রতি কেজি উৎপাদনে দেড় থেকে দুইশত টাকা খরচ হলেও বিক্রি হচ্ছে ৪শ' থেকে ৮শ' টাকায়।