বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন।
এর প্রেক্ষিতে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা বলেন, ‘এতে ক্ষতিগ্রস্ত কি আমরা একা হবো, না ভারতও হবে? ভারত কী আমাদের বিনা পয়সায় পণ্য দেয়, না টাকা নিয়ে দেয়? তাহলে ওটা (বাণিজ্য) যদি তারা বন্ধ করে দেয়, করুক।’
তিনি বলেন, ‘গরুতো বন্ধ করেছিল, তো গরু কি এখন আমরা খাই না? বন্ধ যদি ওনারা করতে চায় তো ওনাদের ব্যাপার। ওরা বন্ধ করলে ওদের ইকোনমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটার সাথে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ লোক জড়িত ওপারের। লক্ষ লক্ষ লোক এপারেও জড়িত।
উপদেষ্টা বলেন, ‘পলিটিক্স ওনারা করছেন, কিন্তু আমি মনে করি না ব্যবসায়ীরা এটা সাপোর্ট করবেন। এত বড় একটা বাজার, সেই বাজারটা নষ্ট করবে বলে আমার মনে হয় না। একদিন দুইদিন অবরোধ তো আমরাও করি মাঝে মাঝে।’
এ সময় ভারতীয় মিডিয়ার প্রোপাগান্ডার বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এতে যেটা হচ্ছে সেটা হলো আমাদের চেয়ে তাদের ক্ষতি হচ্ছে বেশি। কারণ বাংলাদেশের জনগণ ভারতের সাথে যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকতে চায়। ভারতীয় মিডিয়া যারা এটা করছেন, তারা হয়ত তাদের টিআরপি বাড়াচ্ছেন। কিন্তু অন্যদিকে যে কমে যাচ্ছে সেটা আর খেয়াল করছে না। তবে এটা আর কয়দিন চলবে?’
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন,‘৫০ বছর বা ৫২ বছরের বাংলাদেশে আপনারা শুনেছেন যে সব দল এক জায়গায় বসে কথা বলেছে? আপনিও শোনেন নাই, আমার বয়স বেশি আমিও দেখি নাই।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদরা আলটিমেটলি দেশ চালাবে, আজকে হোক কালকে হোক, সেই জায়গাতে যদি রাজনীতিবিদদের মধ্যে ঐকমত্য না হয়, তাহলে জাতীয় যে পথ নির্ধারণ করার দরকার সেটা তখন এলোমেলো হয়ে যায়।’
এর আগে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন ভোমরা বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এছাড়া অংশীজনের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষ ও ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেন এবং সমাধানের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদসহ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, বিজিবি, পুলিশ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীর ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।