ফিলিস্তিনিদের উপর ইতিহাসের নির্মম হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাধারণ মানুষের মতো বিক্ষুব্ধ বাংলাদেশও। প্রায় মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া গাজা ও রাফায় ইসরাইলের আরও শক্তি দিয়ে আগ্রাসন চালানোর বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক মুসলিম দেশ নীরব থাকলেও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে বুড়িগঙ্গার তীরে।
ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে সংহতি র্যালির আয়োজন করে বিএনপি। কর্মসূচি সফল করতে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জড়ো হয় দলের কর্মী-সমর্থকেরা। হাতে ফিলিস্তিনের পতাকা আর কণ্ঠে স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবি।
র্যালির আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
তারা বলেন, বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের নিশ্চিহ্ন করা চেষ্টা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে শান্তিপূর্ণ কমসূচিতে যারা বিশৃঙ্খলা করছে, তারা পতিত স্বৈরাচার ও ইসরাইলের লোক বলেও আখ্যায়িত করেন তারা।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, 'আমি মনে করি, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে প্রত্যেকে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে এবং ইসরাইলের বিপক্ষে লড়াই করছে।'
মির্জা আব্বাস বলেন, 'আজ যদি মুসলিম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ হত, তাহলে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর এই অন্যায়-অত্যাচার করতে পারত না।'
নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'নিরপরাধ নারী, পুরুষ ও শিশুদের হত্যার এই নৃশংসতা বন্ধ করা হোক।'
এসময় দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের অন্যতম সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মুসলিম বিশ্বের মোড়লরা সক্রিয় ভূমিকা রাখছে না। পাসপোর্ট থেকে এক্সেপ্ট ইসরাইল ও আড়িপাতার যন্ত্র কিনে পতিত আওয়ামী লীগ ইসরাইলকে স্বীকৃতি দিয়েছিলো বলেও দাবি করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'আমরা শুধু মুসলিম বিশ্বকে সংহতি প্রকাশ করতে দেখি, সমর্থন দিতে দেখি। কিন্তু মুসলিম বিশ্বের মোড়লদের কোনো সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে দেখি না।'
গাজা ও রাফায় লাখ লাখ নারী, শিশুসহ সাধারণ মানুষ হত্যা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইলের গণহত্যার বিরুদ্ধে কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে বিএনপি।