জাতীয় ঈদগাহ মাঠে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

দেশে এখন
0

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে। তবে অন্যান্যবারের মতো নেই নিরাপত্তা বলয়। ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক জানান, নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা দেখছেন না তারা। ঈদের প্রথম জামাত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দুই-একদিন হাতে রেখে জাতীয় ঈদগাহে চলছে শেষ মুহূর্তের সাজগোজ। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এক কাতারে দেড় দশক পর প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের কেউ অংশ নেবেন জামায়াতে। তবে শেষ মুহূর্তের সাদামাটা প্রস্তুতিতে নেই নিরাপত্তা ব্যবস্থার অতিরিক্ত কড়াকড়ি। দেখা মেলেনি আগের মতো ডগ-স্কোয়াড, পুলিশ-র‍্যাব কিংবা রাষ্ট্রীয় বাহিনীর অতিরিক্ত শোডাউন।

ঈদগাহে দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত হচ্ছে পুলিশ, র‍্যাব ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কন্ট্রোল রুম। সকাল সাড়ে ৮টায় হবে প্রথম জামায়াত। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল হলে প্রধান জামায়াত সকাল ৯টায় স্থানান্তর হবে বায়তুল মোকাররমে। প্রাথমিক চিকিৎসায় থাকবে মেডিকেল টিম ও অ্যাম্বুলেন্স। আজ (শনিবার, ২৯ মার্চ) জাতীয় ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন শেষে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা নেই বলেও জানালেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া।

তিনি বেলন, 'আমরা আশা করছি রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা দুইজনই জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামায়াতে অংশগ্রহণ করবেন। আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। তারপরও যদি হয় সেক্ষেত্রে আমরা বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় আমরা ব্যবস্থা রেখেছি। কোনো থ্রেট আমরা অনুভব করছি না। এবং নির্বিঘ্নে মুসল্লিরা এখানে নামাজ আদায় করতে পারবেন।'

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে ঈদগাহের বিশেষ নিরাপত্তা নিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. রেজাউল করিম মল্লিক কিছু না জানালেও, নগরবাসীর নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক সাড়ে ৬০০টিরও বেশি টহল দল কাজ করবে বলে জানান তিনি।

মো. রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, 'ডিএমপির ৫০টি থানা এলাকায় প্রতিদিন জননিরাপত্তা বিধানে দুই পালায় ডিএমপির ৬৬৭টি টহল টিম দায়িত্ব পালন করে আসছে।'

এবারের জাতীয় ঈদগাহে ১২১টি কাতারে মুসল্লি ধারণ ক্ষমতা ৩৫ হাজার, ভিআইপি গ্যালারিতে সক্ষমতা আড়াইশ' জনের। তবে জায়নামাজ ব্যতীত ছাতা বা অতিরিক্ত কিছু বহন না করার আহ্বান সিটি করপোরেশনের।

এসএস