এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন । তিনি বলেন, '৩ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ রাতে দাফন শেষে মামলা হবে বলে আশা করছি।'
হত্যাকান্ডের অভিযোগে আটককৃত ৩ জন হলেন পলাশের ভাগদী এলাকার মো. উসমান আলী (৪৫), হবি হোসেন (৩৯) এবং পাভেল মিয়া মিয়া (৩০)। অপরদিকে নিহতরা হলেন রাকিব মিয়া (২৬) ও সাকিব মিয়া (২০)। তারা পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল পৌরসভার করতেতৈল এলাকার আশ্রাফ উদ্দিন ও রাবেয়া খাতুন দম্পতির ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার ভোরে কুড়াইতলী এলাকায় দুই যুবক অটোরিকশার ব্যাটারি চুরি করার সময় স্থানীয়রা টের পান। ওই সময় তাদের হাতে হিমেল নামের এক যুবক ধরা পড়লেও আরেক যুবক পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন হিমেলকে পিটুনি দেন। খবর পেয়ে পলাশ থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদিকে, চোর সন্দেহে ওই যুবককে গণপিটুনি দেওয়ার বিষয়ে জানতে বিকেলে কুড়াইতলী এলাকায় যান রাকিব-সাকিবসহ কয়েকজন।
এ সময় তারা এক অটোরিকশাচালককে মারধর করে ফিরে আসেন। সন্ধ্যার দিকে পুনরায় ৩০ থেকে ৩৫ জন যুবকসহ রাকিব-সাকিব ওই এলাকায় গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। একপর্যায়ে তাদের আটক করে পিটুনি দেওয়া হয়। পাশাপাশি রাকিব ও সাকিবকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়।
তারা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাকিবের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পরই জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাকিবকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর ছায়া তদন্তে নেমে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে এমন সন্দেহে ৩ জনকে আজ সকালে আটক করে পুলিশ। আটককৃত ৩ জন বর্তমানে পলাশ থানা হাজতে আছে। ঘটনার পেছনে চাঁদাবাজি ও জুয়া খেলার ঘটনা রয়েছে বলে গুঞ্জন উঠলেও সেটির কোনো সত্যতা মেলেনি।