স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে মিরপুর বাজারে বানিয়াগাঁও ও চারগাঁও গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনার সূত্রপাত হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের আরও কয়েকটি গ্রামের মধ্যে। ফলে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো মিরপুর বাজার।
সংঘর্ষ চলাকালে আতঙ্কে বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে দেন। অনেকেই দোকানের ভেতরে আটকা পড়েন। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের সঠিক কারণ সম্পর্কে একেকজন একেক তথ্য দিচ্ছেন। কেউ বলছেন, নারী উত্ত্যক্ত করার ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। আবার কেউ বলছেন, মোটরসাইকেলের ব্যাটারি কেনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে সংঘর্ষের প্রকৃত কারণ এখনো স্পষ্ট নয়।
এ বিষয়ে বাহুবল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সালেহী বলেন, ‘মিরপুর বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। তবে আজকের সংঘর্ষের সুনির্দিষ্ট কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনের কঠোর ভূমিকা ছিল।’
এ বিষয়ে বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’