ঈদে বাড়ি যেতে হবে। তাইতো নির্ধারিত ট্রেন ধরতে প্লাটফর্মে যাত্রীদের হুড়োহুড়ি। কামরা পরিপূর্ণ হওয়ায় অনেকেই উঠেছেন ছাদে।
ট্রেন ছেড়ে যাওয়া আগে হুইসেল বেজে উঠতেই তৎপরতা বাড়ে রেল সংশ্লিষ্টদের। ছাদে উঠে পড়া যাত্রীদের নামাতে চলে তোড়জোড়। যদিও তা কালক্ষেপণই মাত্র। ছেড়ে যায় ট্রেন।
শুক্রবার সকালে রাজশাহীর উদ্দেশ্য ছেড়ে যাওয়া ধূমকেতু যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়ে। ছেড়ে যায় ৩৫ মিনিট দেরিতে। এছাড়াও জামালপুরের উদ্দেশ্য ট্রেন ছাড়ে ২৬ মিনিট দেরিতে। মোহনগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া মহুয়া কমিউটার প্লাটফর্ম ছাড়ে ১৬ মিনিট পর। বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় না থাকায় স্বস্তি ছিল যাত্রী মনে।
যাত্রীদের মধ্যে একজন বলেন, 'যাত্রী বেশি, কিন্তু সকালে আসছি সেজন্য ভোগান্তি হয়নি। তবে টিকিট পাওয়া একেবারে অসম্ভব। অনলাইন হয়ে টিকিট পাওয়ার কোনো সুযোগই নাই।'
শতভাগ অনলাইনে টিকেট বিক্রিকে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে একটা চক্র। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা সক্রিয়। ফটোশপের মাধ্যমে এডিট করেও এক টিকিট বারবার বিক্রি করছে চক্রটি। যা ধরা পড়ছে প্লাটফর্মে প্রবেশে তিন স্তরের নিরাপত্তায়।
ঢাকা বাংলাদেশ রেলওয়ের সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আমিনুল হক বলেন, 'আসলে কিছু যাত্রী নিজের আইডি দিয়ে টিকিট না কেটে কম্পিউটারের দোকানের সহযোগিতা নিচ্ছে। তো উনারা গ্রাফিক ডিজাইনের মাধ্যমে একই টিকিট শুধু তাদের নাম বসিয়ে দিচ্ছে।'
কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার জানালেন বড় ধরনের কোনো বিপর্যয় এখন পর্যন্ত ঘটেনি। অনেক যাত্রী পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে কোচ খালি নেই ভেবে ছাদে উঠে পড়ছেন। মূলত তাদের ছাদ থেকে নামতেই কিছুটা সময় দেরি হচ্ছে।
ঢাকা বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন বলেন, 'আমরা প্রবেশপথে তিন স্তরে চেকিং করছি। যেন, টিকিট যার ভ্রমণ তার, এটা নিশ্চিত করা যায়। এরপর ট্রেনে উঠার পরও চেকিং আছে। গন্তব্য স্টেশনেও চেকিং আছে।'
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। ঈদযাত্রার টিকিট বিক্রি শেষ করে ২৪ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে ঈদপরবর্তী ফিরতি যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি। আগামী ৭ এপ্রিলের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে আজ।