অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দাবি ওঠে রাষ্ট্র সংস্কারের। এরই প্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টার অনুশাসন মোতাবেক বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, দুর্নীতি দমন এবং পুলিশ সংস্কারসহ ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে ছয়টি কমিশন প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
এরমধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন, পুলিশ সংস্কার কমিশন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন এবং জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন থেকে আশু বাস্তবায়নযোগ্য প্রস্তাবসমূহ চিহ্নিত করে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে পাঠিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।
এই বিষয়ে মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে ব্রিফ করেন ইসির সচিব আখতার আহমেদ। জানান, সুপারিশের প্রেক্ষিতে পাল্টা সুপারিশও করা যাবে।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে তাগিদটা হচ্ছে যে, যেকোনো বিষয় আসলে সেটা তাড়াতাড়ি নিষ্পত্তি করে দেয়া। যেমনটা আমাদের কথা হয়েছে যে ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন, সেটা ধরেই আমরা কাজ করছি।‘
তিনি আরো বলেন, ‘সংস্কার একটা চলমান ব্যাপার, স্থায়ী নয়। আজ যেটা ভালো, যেটা অবধারিত, কাল সেটা প্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে। তখন সেটাও পরিবর্তন করতে হবে।‘
এদিকে অন্য চারটি সংস্কার কমিশনের দেওয়া সুপারিশগুলোর মধ্যে ১১২টি সুপারিশ বাছাই করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিচার বিভাগের ৩৮, দুদক সংস্কার কমিশনের ৪৩, পুলিশ সংস্কার কমিশনের ১৩টি ও জন প্রশাসন সংস্কার কমিশনের ১৮টি সুপারিশ রয়েছে।