১৯৮৫ সালে যশোরে বৈশাখ যাত্রার মাধ্যমে দেশে শুরু হয় বাংলা নববর্ষ উদযাপনের আনুষ্ঠানিকতা। তারও চার বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে সে আনুষ্ঠানিকতা রূপ নেয় জাতীয় উদযাপনে।
শুরুতে এতে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষের অংশগ্রহণ থাকলেও ১৯৯৬ সালে শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে মঙ্গল শোভাযাত্রা দিলে সে উদ্যোগে ছেদ পড়ে। নাম পরিবর্তন নিয়ে শুরু হয় নানা বিতর্ক।
'মঙ্গল' শব্দটিকে একটি ধর্মীয় আচারের শব্দ হিসেবে আখ্যায়িত করেন অনেকে। এরপর থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠী ও ইসলামি সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায়।
দীর্ঘ কয়েক দশক পর নববর্ষ উদযাপনে একটি সমন্বিত উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। যেখানে এবার অংশ নেবে ইসলামি সাংস্কৃতিক সংগঠন থেকে শুরু করে সকল জাতিগোষ্ঠী। তাই এবারের আয়োজনকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উদযাপন বলছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘এবারের আয়োজনে সত্যিকার অর্থে নতুন কিছু দেখবেন। আপনাদের চোখেই পরিবর্তন দেখতে পাবেন।’
নববর্ষ উদযাপনে এবার কোনো সময়সীমা নির্দিষ্ট থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার সন্ধ্যার পরেও চলবে সাংস্কৃতিক উদযাপন।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘পয়লা বৈশাখের আগের দিন চৈত্রসংক্রান্তিতে বিভিন্ন ব্যান্ড দলের পরিবেশনার পাশাপাশি বাউল–ফকিরদের অংশগ্রহণেও হবে বিশেষ পরিবেশনা। পয়লা বৈশাখের দিন সন্ধ্যায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে পয়লা বৈশাখ ও জুলাই বিপ্লব নিয়ে প্রদর্শিত হবে ড্রোন শো। এটি হবে চীন সরকারের সহযোগিতায়।’
শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন হবে কি না এমন প্রশ্নে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা জানান, সবার সম্মতিতে নাম পরিবর্তনের বিষয়টি সোমবার নির্ধারণ হবে।