রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাথে সংলাপের মধ্য দিয়ে তৃতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। টানা দুই ঘণ্টা সংলাপ শেষে রাষ্ট্র সংস্কার কমিশন কথা বলে গণ-মাধ্যমের সাথে।
এ সময় তারা জানায়, জাতীয় সংস্কার কমিশনের ১৬৬ টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ১৫১ টিতে একমত তারা। এছাড়া ৫ টিতে পুরোপুরি দ্বিমত ও ১০ টিতে আংশিক দ্বিমত করেছে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
দুপুর ১ টার দিকে সংসদ ভবনের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যালয়ে আসে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। তারা জানান, বিএনপি জাতীয় সংস্কার কমিশনের বেশ কিছু প্রস্তাবে একমত হলেও দ্বিমত রয়েছে সংবিধান সংশোধন ও নির্বাচনী ব্যবস্থার অধিকাংশ সংস্কার প্রস্তাবে।
সংবিধানে দেশের নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের সাথে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের স্থান পাওয়া নিয়ে দ্বিমত তাদের। জাতীয় নির্বাচনের আগে কোন গণভোটের সুযোগ প্রয়োজন নেই বলেও মনে করে বিএনপি।
দুপুর ২ টার পরে জাতীয় সংস্কার কমিশনে মতামত নিয়ে আসে এনসিপি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ১৬৬ টি প্রস্তাবের মধ্য ১১৩ টিতে একমত, ২৯ টিতে আংশিক একমত ও ২২ টিতে একমত হয়নি এনসিপি।
গণ-পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান বাতিলের দাবি তাদের।
পরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সাথে দেখা করতে আসে সিপিবি। গণমাধ্যমে কাছে বলেন, ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে এই আশঙ্কায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবে মতামত দেয়নি তারা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চিঠি পাওয়া ৩৮ টি দলের মধ্যে ১৬টি দল এখন পর্যন্ত তাদের মতামত দিয়েছে।