গতকাল বিকেল থেকে আগুন নেভানোর প্রাথমিক কাজ শুরু করে বন বিভাগ। আলোর অভাবে সন্ধ্যার পর থেকে বন্ধ রাখা হয় আগুন নেভানোর কার্যক্রম।
আজ (রোববার, ২৩ মার্চ) সকাল থেকে আবারো আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে খাল থেকে ওই এলাকার দূরত্ব বেশি হওয়াতে পানির উৎসের অভাবে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। সুন্দরবনের গহীনে আগুন লাগায় মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৪ টি ইউনিট রওনা দিলেও পৌঁছাতে দেরি হয়।
এছাড়াও পানির উৎস দূরে থাকায় তাৎক্ষণিক পাইপের মাধ্যমে পানি মারা সম্ভব হয়নি।
পরিবেশবিদরা বলছেনি, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে বার বার ঘটছে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এতে পুড়ছে বিস্তীর্ণ বনভূমির গাছপালাসহ বিভিন্ন লতা-গুল্ম। গত দুই যুগে অন্তত ২৬ বার আগুন লেগেছে সুন্দরবনে।
আগুন লাগার পর কারণ অনুসন্ধান, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তবে সেসব তদন্ত প্রতিবেদন ও দুর্ঘটনা এড়াতে করা সুপারিশগুলো আলোর মুখ দেখেনি। ফলে থামছে না সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ড।