সড়ক-মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফিটনেসবিহীন গাড়ি। ঈদ আসলেই এই প্রতিযোগিতা আরো বাড়ে। সরকারি হিসাবেই ছয় লাখ ১১ হাজারের বেশি ফিটনেসবিহীন গাড়ি সড়কে রয়েছে। বাস্তবে যে সংখ্যা আরো বেশি।
বিআরটিএর দেয়া তথ্য বলছে, ২০ হাজার ৮৬৮টি বাস, ১১ হাজার ১৮৫টি মিনিবাস, ৫৭ হাজার ৪১টি ট্রাক, ৭৩ হাজার সাতটি প্রাইভেটকার, ৩০ হাজার ৫৩৮টি মাইক্রোবাস, ৭২ হাজার ১৫৯টি পিকআপ ভ্যান, ৩৯ হাজার ৫৯১টি ট্রাক্টর, ১৪ হাজার ৩৮০টি হিউম্যান হলার, তিন হাজার ৮১১টি অ্যাম্বুলেন্স, দুই লাখ পাঁচ হাজার ৬৪৭টি অটোরিকশার ফিটনেস বা হালনাগাদ ফিটনেস সনদ নেই।
আসন্ন ঈদে সড়কে শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতে লক্কড়-ঝক্কড়, ফিটনেসবিহীন বাস চলাচল রোধে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে বিআরটিএ ও মিরপুর ট্র্যাফিক বিভাগ।
অভিযানের শুরুটা মাওয়াহীদ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ থেকে। সেখানে বেশ কয়েকটি পুরানো গাড়ি রং দেয়ার কাজ করছে শ্রমিকরা। তাদের কাছেই জানা গেলো কয়েকদিনের মধ্যে রাস্তায় নামবে এই গাড়িটি।
একজন শ্রমিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘গাড়িটি এক সপ্তাহের মধ্যে রাস্তায় নামবে। ঈদের জন্য এগুলোকে প্রস্তুত করতে রঙের এবং বডির কাজ করা হচ্ছে এখানে।’
গ্যারেজে থাকা গাড়িগুলোর বিআরটিএ ফিটনেস সার্টিফিকেট, টিন, বিন ও লাইসেন্স রিনিউ করা আছে কি না তা যাচাই বাছাই করেন অভিযান পরিচালনাকারী দলটি।
অভিযান পরিচালনাকারী দলের প্রধান জানান , দূর্ভোগমুক্ত ঈদ যাত্রা নিশ্চিত করতে চায় সরকার। রাস্তায় ফিটনেস বিহীন গাড়ি নামানোর আগেই তাই ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা।
বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘রাস্তায় চলাচলের অনুপযোগী কোনো গাড়ি তারা রাস্তায় নামাবেন না এবং এই মর্মে তারা আমাদের কাছে মুচলেকা দিয়েছেন। যদি পরবর্তীতে তারা এই ধরনের গাড়ি নামায় তাহলে আমরা তাদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
অনিয়মের একটা বড় অংশ চলে গাবতলি বাসস্ট্যান্ড থেকে। কীভাবে প্রতিরোধ করবেন?
মিরপুর ট্র্যাফিক বিভাগের ডিসি রাহাত গাউহারী বলেন, ‘গ্যারেজগুলোতে আসছি, আমরা ওনাদেরকে সময় দিচ্ছি লাইসেন্স করার জন্য এবং লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য। আমরা বাস মালিক এবং শ্রমিকদের সাথে বসছি, তাদেরকে এসব বিষয়ে সতর্ক করছি।’
জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ঈদে ফিটনেস যুক্ত যানবাহন নামানোর জন্য মালিক শ্রমিকদের আহ্বান জানিয়েছেন বিআরটিএ ও মিরপুর ট্র্যাফিক বিভাগ।