ফেসবুক পোস্টে ববি হাজ্জাজ লেখেন, ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিদায়ের পর এদেশে এক নবদিগন্তের সূচনা হয়েছিল। ২০১৭ সালের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দল হিসেবে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে সোচ্চার থেকেছে। বিএনপির নেতৃত্বে হাসিনা পতনের একদফা দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলন করেছে এনডিএম। জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও আমরা রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছি।
তিনি লিখেন, ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর নতুনভাবে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে দল হিসাবে আওয়ামী লীগের বিচার চেয়ে অভিযোগ দায়ের করে এনডিএম। একইসাথে আমরা আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের বিচারও চেয়েছি। দুঃখজনক হলেও সত্য, নতুন খসড়া আইনে এই ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক সংগঠনের বিচার করার এখতিয়ার দেয়া হয় নাই।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার বিষয়ে তিনি লিখেন, আমাদের লড়াই থেমে যায় নাই। আমাদের কথা পরিষ্কার, বাংলাদেশের পবিত্র জমিনে অগণিত ছাত্র-জনতা, রাজনৈতিক কর্মী, আলেম-ওলামা, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের রক্ত ঝরানো আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার যেকোনো ‘প্রকল্প’ আমরা রক্তের বিনিময়ে রুখে দিব ইনশাআল্লাহ।
নির্বাচন এবং রাজনীতি থেকে আওয়ামী লীগকে দূরে রাখতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে বলে দাবি করেন ববি হাজ্জাজ। পোস্টে তিনি লেখেন, জনগণ এই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে আর দেখতে চায় না।
ববি হাজ্জাজ লিখেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্নে যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থাকবে এনডিএম। এখানে কোনো ‘ইফস’ অ্যান্ড ‘বাটস’ নেই। সরকারের ভিতরে বা বাইরে যারাই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চাইবে তাদেরকেই জনগণের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হিসাব দিতে হবে।
সবশেষে তিনি লিখেন, ইনশাআল্লাহ দেখা হবে রাজপথে এবং স্লোগান হবে বিজয়ের মিছিলে।