প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ শুরু করে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। প্রথম পর্যায়ে গঠিত পাঁচটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোকে ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত জানাতে বলা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার প্রস্তাবের কপি জমা দিলো জামায়াতে ইসলামী।
সংস্কার প্রস্তাব জমা দেয়ার পর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার জানান, সংবিধান পরিবর্তনে গণভোট ও সংস্কারের পর নির্বাচনী রোডম্যাপ চায় তার দল।
গোলাম পরওয়ার বলেন, 'নির্বাচনটা হচ্ছে পিআর পদ্ধতি। দেশে নতুন সংবিধান প্রয়োজন হলে সংবিধান প্রয়োজন হয়। সে কাজটা অনেকসময় সংসদও করতে পারে। একেকটা দল নতুন গঠিত হলে তাদের কর্মসূচি পলিসি থাকতেই পারে। এটা দোষের কিছু না। সে ব্যাপারে আমরা আমাদের কিছু মতামত দিয়েছি। গণভোটের ব্যাপারে আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি।'
এ সময় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রিয়াজ জানান, ১৫ জুলাইয়ের মধ্যেই সব কাজ শেষ করতে চায় সরকার।
আলী রিয়াজ বলেন, 'এখানে চাপের কোনো প্রশ্ন আমি দেখতে পাই না। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের অবস্থান বলছেন, অবশ্যই তারা বলবেন। কিন্তু কমিশন হিসেবে আমাদের যে দায়িত্ব তা হচ্ছে যে সংস্কার কমিশনগুলো তৈরি হয়েছে তার সুপারিশগুলো তুলে ধরা এবং তারই পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এক জায়গায় আসা।'
সংস্কার বা নির্বাচন নিয়ে কমিশনের ওপর কোনো চাপ নেই বলেও জানান তিনি। বিএনপি ও এনসিপি ছাড়ায় এরইমধ্যে ১৬টি রাজনৈতিক দল ঐকমত্য কমিশনে নিজেদের মতামত জমা দিয়েছে।