আসমান যাদের কাছে ছাদ। পৃথিবীটা যাদের কাছে বাড়ি। এ শহরের ফুটপাত যাদের ঠিকানা তাদের মধ্যরাতের খোঁজ কে রাখে?
সেহরির সময় কাসিদার সুরে যখন ভারি হয় পাড়া মহল্লা। সেহেরি করতে ব্যস্ত এই নগর জীবন, তখন ছিন্নমূল মানুষ জামায়েত হয় এমন রাস্তায়। তাদের জন্য সেহরির ব্যবস্থা করেছে নানা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
ক্র্যাচে ভর দিয়ে সেহেরি করতে এসেছে কিশোর নোমান। এসেছে রিকশায় ঘর বাধা সবুজ মিয়াও। তৃপ্তি নিয়ে খাচ্ছে রাতের শিফট এ কাজ করা মোবারক হোসেন।
এক সাথে সেহরি করতে পেরেও খুশি তারা। বলছেন এমন আয়োজন রমজানকে আরও সুন্দর করে তোলে।
মোবারক হোসেন বলেন, 'গরীব অসহায় মানুষের দেখা যায় বাসা নেই। রাতে কাবার রান্না করার ব্যবস্থা নেই। তাদের জন্য খুবই সুবিধা হয়েছে। তারা সেহরি খেয়ে রোজা থাকতে পারবে।'
সেহরিতে সব শিশুদের উচ্ছ্বাস যেন একটু বেশি। এখানেও তার ব্যতিক্রম নয়। চলছে খুনসুটি সাথে খাওয়া।
শহরের বিভিন্ন অলিগলি ঘুরে চোখে পড়ে এমন দৃশ্য। আয়োজকরা বলছেন অনেক দূর থেকেও অনেকে আসে সেহরি করতে।
একজন কিশোর বলেন, 'সবাই এখানে আছে। আমরা তো জায়গায় জায়গায় গিয়ে খাই, না। সবাই এখানে এসে একসাথে খায়।'
আয়োজকরা বলছেন অনেক দূর থেকেও অনেকেই এসেছেন সেহেরি করতে।
আয়োজকদের একজন বলেন, 'মিনিমাম ৮০ থেকে ৯০ জন এক সিরিয়ালে বসে একসাথে খেতে পারে। তাদের খাওয়ার সশয় যে আনন্দ, যে হাসিমুখ, টাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া।'
এমন উদ্যোগ যেন রোযার মাসকে আরও মহিমান্বিত করেছে। এনে দিয়েছে ধনী-গরীব সবার মুখে হাসি।