ফাল্গুনের হাওয়ায় উৎসবের রঙে মেতে ওঠে প্রকৃতি। শীতে বৃক্ষের পত্ররাজি ঝড়ে পড়ে, প্রকৃতিতে আসে স্তব্ধতা। বসন্তের আগমনে সেই আড়মোড়া ভেঙে প্রকৃতি হয়ে ওঠে সজীব।
ঋতুরাজ বসন্তকে বরণ করে নিতে চট্টগ্রামে ছিল নানা আয়োজন। ভোর থেকে প্রিয় ঋতুকে বরণ করতে হৃদয়ের সকল উচ্ছলতা ঢেলে দেয় নগরবাসী। বোধন আবৃত্তি পরিষদ প্রতিবারের মতো এবারও দিনটিকে বরণ করে নিতে পাহাড়তলি শহীদ ওয়াসিম পার্কে আয়োজন করে বসন্ত উৎসবের।
বাসন্তী বসনে তরুণ-তরুণীদের দেখা যায় ঊচ্ছ্বাসমুখর পদচারণায়-আড্ডায়। চারিদিকে ছিল হলুদের মেলা, হলুদ রঙের ছোঁয়া। পাশাপাশি ছিল লাল পোশাকের উপস্থিতি। ভালোবাসা দিবস একই দিনে হওয়ায় ভিন্নমাত্রা যোগ হয় বসন্ত আয়োজনে।
মঞ্চে সমবেত গান, নৃত্য এবং আবৃত্তি পরিবেশন করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা। বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতির অংশ বসন্ত সবার জীবনকে বর্ণিল করবে এমন প্রত্যাশা ছিল অনুষ্ঠানে আগতদের কণ্ঠে।
বর্ণিল আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগ উদযাপন করেছে ‘বসন্ত বর্তিকা’। বসন্তের আবাহনে আয়োজিত এ উৎসব বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অনন্য প্রতিচিত্র তুলে ধরা হয়। আয়োজনের শুরুতেই ছিল শোভাযাত্রা। যেখানে শিক্ষার্থীরা বাসন্তী রঙের পোশাকে উপস্থিতির জানান দেয়। এরপর প্রভাতি নিবেদন নিসর্গ রাগ, সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তিতে ছড়িয়ে দেয়া হয় বসন্তের রং।
পহেলা ফাল্গুন এবং ভালোবাসা দিবসের রং ছড়িয়েছে সমুদ্র নগরী কক্সবাজারেও। সকাল থেকে সৈকত জুড়ে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে বিশেষ দিনটি কক্সবাজারে কাটাতে পেরে উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা।
চলছে সমুদ্রতীরের সৌন্দর্য উপভোগ, নোনাজলে গা ভাসানোসহ জেটস্কি চড়ে সাগর জলে ভাসা। সৈকত ছাড়াও বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার, মহেশখালী দ্বীপ, মেরিন ড্রাইভ সহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট মুখর পর্যটকদের পদচারণায়।
প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে বিশেষ দিন উদযাপনে সাভারের বিরুলিয়ার গোলাপ গ্রামে বেড়েছে দর্শনার্থীদের ভিড় ও ফুল বিক্রি। দিনটিকে রাঙিয়ে নিতে বাসন্তী সাজে সেজেছেন তরুণ-তরুণীরা।