সোমবার দুপুরে শাহবাগ অবরোধ করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হওয়া প্রার্থীরা ও এনটিআরসিএর নিবন্ধিতরা। রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান নেয়ার পর পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরে যেতে বলে। রাস্তা ছেড়ে না দেয়ায় একপর্যায়ে জল কামান ব্যবহার করে সড়ক থেকে তুলে দেয়া হয়।
এসময় পর পর দুটি সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ পাওয়া যায়। এসময় আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
এরপর ফের সড়ক দখলের চেষ্টা করলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এসময় এনটিআরসিএ'র নিবন্ধিতরা সড়ক থেকে সরে গেলেও বসে পড়েন প্রাথমিকে সুপারিশপ্রাপ্তরা। বিশেষ করে নারী আন্দোলনকারীরা অনড় থাকেন। কয়েকবার জল কামান দিয়ে ভিজিয়ে দেয়া হলেও তারা সরেননি।
এক পর্যায়ে পুলিশ জোর করে মেয়েদের তুলে দেয়। কয়েকজনকে নেয়া হয় শাহবাগ থানায়। ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ছয় হাজারের বেশি সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর নিয়োগ বাতিল করেন হাইকোর্ট। প্রার্থীরা আদালতের আদেশ পরিবর্তনের দাবি জানান।
পুলিশ বলছে- সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার বিকল্প নেই। রমনা থানার ডিসি মাসুদ আলম বলেন, ‘ওরা বুঝছে না। মনে করছে এখানে থাকলেই চাকরি হবে। আসলে বিষয়টা তো এরকম না। হাইকোর্টে রায় হয়েছে, তাদের বিপরীতে গেছে। এখানে আমরা কী করবো, বা তারাই বা কী করবে? তাদের বুঝানোই যায় না। আমি কালকে রাত্রে পর্যন্ত গিয়ে বলে এসেছি।’
সন্ধ্যার আগে শাহবাগের মূল সড়ক ছেড়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনরত চাকরি প্রত্যাশীরা। সকালে একই স্থানে মানববন্ধন করেন তারা।