সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, জনপ্রশাসনে মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা বা আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে যাতে সহজেই সেটি পরিবর্তন করা না যায়। সরকারি চাকরিতে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়রেখা প্রতিষ্ঠা করা উচিত, বিশেষ করে বিসিএস, বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়াটি অত্যধিক দীর্ঘ। বিধায় নিয়োগ থেকে যোগদান পর্যন্ত প্রক্রিয়াটিকে সহজতর করা প্রয়োজন।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিসিএস পরীক্ষা এক বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে। পরীক্ষার প্রক্রিয়াটি একটি ব্যাপক লিখিত পরীক্ষায় পরিবর্তন করা যেতে পারে।
পিএসসির পরীক্ষার একটি বার্ষিক ক্যালেন্ডার কেমন হতে পারে তাও উল্লেখ করা হয়েছে এই প্রতিবেদনে।
সংস্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী পিএসসির পরীক্ষার বার্ষিক ক্যালেন্ডার হলো:
(ক) পিএসসির পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি: জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ।
(খ) প্রিলিমিনারি পরীক্ষা: এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ।
(গ) প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশ: মে মাসের প্রথম সপ্তাহ।
(ঘ) মূল লিখিত পরীক্ষা: জুন মাসের দ্বিতীয়ার্ধে (১০ দিন)।
(ঙ) মূল লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ: ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ।
(চ) মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা: পরবর্তী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত।
(ছ) পিএসসি কর্তৃক চূড়ান্ত ফল ঘোষণা: এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহ।
(জ) স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ছাড়পত্র: মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ।
(ঝ) নিয়োগের আদেশ গেজেটে প্রকাশ: জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ।
(ঞ) নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ে যোগদান: জুলাই মাসের এক তারিখ।
(ট) পিএটিসির ফাউন্ডেশন ট্রেনিংয়ে যোগদান: আগস্টের প্রথম সপ্তাহ।