২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হন বাসিন্দারা। পুড়িয়ে দেয়া হয় বাড়িঘর। চালানো হয় গণহত্যা।
এক পর্যায়ে প্রাণে বাঁচতে নাফ নদী পাড়ি দিয়ে টেকনাফ ও উখিয়া এলাকায় আশ্রয় নেয় নির্যাতিতরা। ঝাঁকে ঝাঁকে বাংলাদেশ প্রবেশ করে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা, যে জনসংখ্যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ লাখে।
গেল বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার রোহিঙ্গা সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
সোমবার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ ও জেনোসাইড স্টাডিজ বিভাগ আয়োজন করে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ও করণীয় শীর্ষক সেমিনার। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান জানান, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে টেকসই উদ্যোগ না থাকা হতাশাজনক।
অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, 'রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ছয় বছরেও টেকসই কোনো পরিকল্পনা নিতে না পারা হতাশাজনক । সব অংশীজনের সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধন করতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে।'
পরে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি জানান, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাচ্ছে। এছাড়া নির্দিষ্ট এলাকায় তাদের আটকে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে বলেও জানান তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সরকার সবরকম তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। চীন সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যা একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। রোহিঙ্গাদের নির্দিষ্ট স্থানে আটকে রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তারা আশপাশে ছড়িয়ে আছে। রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার চেষ্টা করছে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের।'
চীন রোহিঙ্গা ইস্যুকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।