জুলাই আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনসহ কয়েক দফা দাবিতে রাজপথে নেমেছে আন্দোলনকারীরা। সকাল ১১টা থেকে শ্যামলীতে সড়ক অবরোধ করে রাখায় তীব্র যানজটে পড়েছেন নগরবাসী।
আহতদের পাশাপাশি জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অনেকেই তাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে অবরোধে অংশ নেন। বিক্ষুব্ধরা অভিযোগ করেন, সরকার আহতদের সুচিকিৎসার নামে কালক্ষেপণ করছে।
আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধিসহ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে পুনর্বাসন কাজ দ্রুত সময়ে শেষ করার দাবি জানান তারা। এর আগে, একই দাবিতে শনিবার রাত ১১টার দিকে আন্দোলনে আহতরা পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেন।
এদিকে শনি ও রোববারে জুলাই আন্দোলনে চোখে আঘাতপ্রাপ্ত প্রায় ২০০ জনকে চিকিৎসা দিয়েছেন সিঙ্গাপুর থেকে আসা ৫ জন চক্ষু বিশেষজ্ঞ। প্রথমদিন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও দ্বিতীয় দিন ধানমন্ডির বাংলাদেশ আই হাসপাতালে সকাল ৯টা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়। এদের মধ্যে ৭/৮ জনকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সুপারিশ করেছে বিদেশি চিকিৎসকরা। তবে আহতদের অনেকেই বিদেশে যাবার সুপারিশ না পেয়ে অসন্তোষ জানিয়েছেন।
আহতদের সেবায় বরাদ্দ ২৩২ কোটি টাকার মধ্যে ৩০ জনকে ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। আহতদের চিকিৎসায় সরকার নির্ধারিত ক্যাটাগরি কারো পছন্দ না হলে তিনি পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করতে পারবেন বলেও জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
আহতদের মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা মাথায় রেখে কাউন্সেলিংয়ের ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।