ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উত্তরাধিকারসূত্রে একটি 'বিপর্যস্ত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত' অর্থনীতি পেয়েছে। তা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় ফাউন্ডেশনের সহায়তা কামনা করি।'
তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের গণমাধ্যম এখন অভূতপূর্ব স্বাধীনতা ভোগ করছে। কিন্তু ভুল তথ্য ও অপতথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।'
প্রধান উপদেষ্টার সাথে দেখা করে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যালেক্স সোরোস বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনর্গঠন, পাচার করা সম্পদ সন্ধান, ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বৈঠককালে অ্যালেক্স সোরোস ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার এবং দেশের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, 'ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান দেশের জন্য একটি নতুন যাত্রাপথ নির্ধারণের বিরাট সুযোগ তৈরি করেছে।'
তারা জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান, আন্দোলনে হতাহতদের জন্য ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক সংস্কার, গণমাধ্যম, পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার, নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন ও এটিকে উন্নত করার উপায় এবং রোহিঙ্গা সংকটের মতো বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করেছেন।
অ্যালেক্স সোরোস বলেন, 'আমরা এসব ক্ষেত্রে আপনার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার উপায় অনুসন্ধান করব।'
অধ্যাপক ইউনূস ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
তিনি ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থানের খবর ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়ে আরও বেশি কিছু করার জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতি আহ্বান জানান।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, 'দাভোসে আমার সফরের সময় আমি যা দেখেছি তা হল জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে খুব বেশি লোক জানে না। অনেক বিভ্রান্তি রয়েছে।'
ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এলডিসি উত্তরণে সহায়তা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করে। প্রধান উপদেষ্টা এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, 'কোনো সমস্যা ছাড়াই কীভাবে উত্তরণ করা যায় তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।'—বাসস