ওমরাহ-ভিজিট ভিসায় সৌদিগামীদের মেনিনজাইটিস টিকা বাধ্যতামূলক

দেশে এখন
0

হজের পর এবার ওমরাহ ও ভিজিট ভিসায় বাংলাদেশ থেকে সৌদিগামী যাত্রীদের জন্য মেনিনজাইটিস টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই টিকা নিয়ে নির্দেশনাও জারি করেছে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। যদিও অল্প সময়ের নোটিশে সবার টিকা নিশ্চিত করা কঠিন হবে বলে মনে করছে হজ এজেন্সিগুলো। চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত টিকার মজুত আছে বলছেন ধর্ম উপদেষ্টা।

হজ-ওমরাহসহ বিভিন্ন কারণে প্রতিবছর সৌদি আরবে যান অনেক মানুষ। এর মধ্যে বছরে সরকারি হিসেবে আড়াই লাখ আর বেসরকারি হিসেবে কমপক্ষে ৫ লাখ মানুষ যান ওমরাহ পালনে। এছাড়া হজ ও ভিজিট ভিসায় সেই অঙ্ক পৌঁছায় ৮ লাখের উপর।

গেল বছর বাংলাদেশি হজ যাত্রীদের জন্য মেনিনজাইটিসের টিকা বাধ্যতামূলক করেছিলো সৌদি সরকার। আর এবার যুক্ত হলো ওমরাহ ও ভিজিট ভিসায় সৌদি গমনেচ্ছেুরাও।

সৌদি সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও নেয়া হয়েছে সতর্কতা। সতর্কতায় বলা হয়েছে হজ, ওমরাহ ও ভিজিট ভিসায় সৌদি গমনেচ্ছুদের ভ্রমণের কমপক্ষে ১০ দিন আগে মেনিনজাইটিসের টিকা নিতে হবে। ভ্রমণের সময় সঙ্গে রাখতে হবে টিকার সনদ। ৩ বছরের মধ্যে পলিস্যাকারাইড এবং ৫ বছরের মধ্যে কনজুগেট টিকা নেয়া থাকলে নতুন করে টিকা নিতে হবে না। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকার এই নির্দেশনা কার্যকর করা হবে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘১০ ফেব্রুয়ারি থেকে যারা ভ্রমণ করবে তাদের জন্য মেনিনজাইটিস টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক। শুধু ওমরাহ ও ভিজিট ভিসায় সৌদি গমনেচ্ছুদের এই টিকা প্রয়োজন।’

কিন্তু মেনিনজাইটিস টিকা নিয়ে সৌদি সরকারের কেনো এতো কড়াকড়ি?

বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী বলেন, ‘হজের সময় অনেক মানুষ একসঙ্গে থাকে যার ফলে তাদের লালা একজনের থেকে আরেকজনের কাছে স্পর্শ করতে পারে যেজন্য এই টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’

এই টিকা বাধ্যতামূলক করার বিষয়টিতে বিপাকে পড়েছে এজেন্সিগুলো। তারা বলছে, এতো অল্প সময়ের নোটিশে সব ওমরাহ যাত্রীদের টিকা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। অভিযোগ রয়েছে, টিকার অপ্রতুলতা নিয়েও।

আল মক্কা ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী মুহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, ‘যে কয়েকটি হাসপাতালে টিকা পাওয়া যায় সেখানে কিন্তু টিকার সংকট রয়েছে। একটা হযবরল অবস্থা হয়ে গিয়েছে। আমাদের যে হ্যাব আছে তার কমিটি নেই। কমিটি না থাকলেও প্রশাসক তো আছে সে তো এখন বেশি কাজ করতে পারবে।’

যদিও টিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন। তিনি বলছেন, চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত টিকার মজুত রয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের সাথে কথা হয়েছে। হেলথের ডিজির সাথে কথা হয়েছে।  ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ওমরাহ ও ভিজিট ভিসায় সৌদি গমনেচ্ছুদের ভ্রমণ যাত্রীদের জন্য টিকার যে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সেই টিকার সংকট নেই।

তবে হজের মতো সরকারি ভাবে নয়। ওমরাহ যাত্রীদের নিজের টাকা খরচ করেই নিতে হবে এই টিকা। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল ও টিকাকেন্দ্রে মেনিনগোকক্কাল মেনিনজাইটিস এর টিকা পাওয়া যাচ্ছে।

ইএ