প্রবাস
দেশে এখন
0

ভয়ে ঘর থেকেই বের হচ্ছেন না নথিপত্রহীন অনেক বাংলাদেশি

অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে। ভয়ে ঘর থেকেই বের হচ্ছেন না নথিপত্রহীন অনেক বাংলাদেশি। যা নিয়ে কমিউনিটিতে বিরাজ করছে চাপা উদ্বেগ। তবে বৈধ ও সৎ পথে যারা আছেন তাদের জন্য ভালো কিছু করার সময় আসছে, বলে মনে করছেন আইনজীবীরা।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে চিরচেনা রূপ হারাতে বসেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাগুলো। একটা সময় যেখানে আড্ডা আর হৈহুল্লোড়ে মুখর থাকতো, সেখানেই এখন কমছে আনাগোনা। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে দ্রুত ঘরে ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠছেন অধিকাংশ অভিবাসী।

বসবাস ও কাজের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় খুব জরুরি কাজ ছাড়া ঘর থেকেও বের হচ্ছেন না অনেকে। বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসী নির্মাতা রুবেল শঙ্কর বিশ্বাস বলেন, ‘যারা অনেক টাকা খরচ করে মেক্সিকো ও পানামা দিয়ে এখানে আসছে তাদের জন্য শঙ্কার বিষয়।’

কংগ্রেসে অভিবাসনবিরোধী আইনের অনুমোদনের পর আরও জোরালো হয়েছে অভিযান। জায়গায় জায়গায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর টহল। সামান্য আইন ভাঙলেই পড়তে হবে বিপত্তিতে। সীমান্ত কাছাকাছি থাকায় মেক্সিকো হয়ে বহু লাতিন আমেরিকান দেশ ত্যাগ করছেন বাধ্য হয়ে।

জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ডক্টরাল গবেষক আসিফ বিন আলী বলেন, ‘আপাতত আমি এখানে আশা দেখছি না যাদের নথিপত্র নেই।’

শপথ নেয়ার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা কঠোর নীতির আওতায় অনেকে বিপাকে পড়লেও, সৎ পথে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য এখন মোক্ষম সময় বলেও মনে করছেন অভিবাসন নিয়ে কাজ করা আইনজ্ঞরা।

যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন পরামর্শদাতা ব্যারিস্টার সারোয়ার হুসাইন বলেন, ‘এই আইন শুধু বাংলাদেশিদের জন্য না সব দেশের মানুষের জন্য একই অবস্থা।’

বৈধ কাগজপত্র না থাকা কেউ ধরা পড়লে, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে দুই বছরের বেশি সময় ধরে অবস্থান করার প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে দ্রুতই দেশ থেকে বের করে দেবে কর্তৃপক্ষ।

ইএ