২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে জিতে টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠন করে শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ একাই পায় ২৫৭টি আসন। সেবার বিএনপি ও সমমনা দলগুলো পায় মাত্র সাতটি আসন। অধিকাংশ ভোট আগেই হয়ে যাওয়ায় একে 'রাতের নির্বাচন' নাম দেয় বিরোধীদলগুলো।
এবার রাতের ভোট নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। ক্ষমতার অপব্যবহার, অসদাচরণ, জাল-জালিয়াতি, দিনের ভোট রাতে করা এবং আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য নির্বাচনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে পুলিশের আইজিপি জাভেদ পাটোয়ারী, ডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, র্যাব প্রধান বেনজীর আহমেদ, পুলিশের সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা তারেক আহমেদ সিদ্দিক, তৎকালীন জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের 'যোগসাজশের' কথা উল্লেখ আছে দুদকের হাতে আসা অভিযোগে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল কে এম নুরুল হুদা কমিশনের অধীনে। দুদক মহাপরিচালক জানান, ২০১৮ সাল ছাড়াও বাকি নির্বাচনগুলোর ব্যাপারেও খতিয়ে দেখবে কমিশন। সে অনুযায়ী নেয়া হবে ব্যবস্থা।
অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করেছে দুদক। অভিযোগের বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও, দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ এবং নির্বাচনের ফলাফল পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করে অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানান মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।