২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। এতে প্রভাব পড়ছে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচে। যার ফলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে নানা মহল।
আজ (শনিবার, ১৮ জানুয়ারি) সকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, শুল্ক ও ভ্যাট নিয়ে বিএনপির অবস্থান শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এসময় বিএনপির স্থানী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, জনগণের চাহিদা বিবেচনা না করে নতুন করে শতাধিক পণ্যে ভ্যাট আরোপ করে ঋণ পরিশোধের সহজ উপায় বেছে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। যার প্রভাব পড়বে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর।
তিনি বলেন, ‘কর আরোপ করে সহজ উপায় বেছে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আওয়ামী লুটপাটের বাজেট থেকে সরে এসে জনগণের চাহিদা বিবেচনায় অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট দেয়া উচিৎ ছিল।’
এসময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার নীতি সুদ হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করা করছে মন্তব্য করে প্রত্যক্ষ কর না বাড়িয়ে পরোক্ষ কর বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘প্রত্যক্ষ কর না বাড়িয়ে পরোক্ষ কর বাড়ানোর সুপারিশ করছি। কারণ পরোক্ষ কর তৃণমূলসহ সবধরনের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে।’
সরকারের নীতিমালা প্রণয়নে জনগণের কথা বিবেচনা করা দরকার জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বর্তমানে খরচ কমানোর দিকে সরকারের নজর দেয়া উচিৎ।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘বিভিন্ন প্রজেক্ট ও অপ্রয়োজনীয় মেগা প্রকল্প থেকে ২০ শতাংশ খরচ কমানো সম্ভব। এতে দরিদ্র মানুষের উপর চাপ কমবে।’
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘নতুন আরোপিত ভ্যাট ও কর অবিলম্বে প্রত্যাহার করে দেশের এমন পরিস্থিতিতে দরকার জবাবদিহিমূলক সরকারের।’
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের অদক্ষতা ও সমন্বয়হীনতার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। নতুন ভ্যাট আরোপ দরিদ্র মানুষের সমস্যা আরো বাড়াচ্ছে।’
এছাড়া, দুর্নীতিবাজদের বাজেয়াপ্ত অর্থের আইনানুগ ব্যবহার, কালো টাকা উদ্ধার, অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বাতিলসহ জনবান্ধব বাজেট প্রণয়নের নানা বিষয় তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যেভাবে অর্থনীতিকে নাজুক পরিস্থিতিতে রেখে গেছে সেখানে নতুন করে ভ্যাট বাড়ালে তা মানুষের জন্য কল্যাণকর হবে না।’
ফখরুল বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় খাতে অর্থ বরাদ্দ এখনো চলছে। সচিবালয়ে এখনো দুর্নীতিবাজ আমলারা রয়েছে তারা দক্ষ দুর্নীতিতে। তা ঠিক করা সরকারের বড় দায়িত্ব।’