পোষ্যকোটা বাতিল, টিএসসি নির্মাণ, ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানোসহ ৯ দফা দাবিতে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। প্ল্যাকার্ড, স্লোগান আর প্রতিবাদী বক্তব্য নিয়ে তাদের অবস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে।
গত ৩৪ বছর ধরে নিজেদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া আদায়ে নানা সময় এভাবে মাঠে নামতে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। বিক্ষিপ্ত আন্দোলন কখনো পেয়েছে সফলতা; কখনো বা শেষ হয়েছে সংঘাত বা রক্তপাতে।
পড়াশোনার ক্ষতি করে বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেও কখনো তাদের বাধা হয়েছে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন কখনো বা প্রশাসন। এসব বাস্তবতায় বারবার সামনে এসেছে চাকসু নির্বাচন বা ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের বিষয়টি।
১৯৯০ সাল থেকে কোন নির্বাচন নেই, নেই ছাত্রদের অধিকার আদায়ের কোন কর্মকাণ্ড। তাই অনেকটা পরিত্যক্ত চাকসু ভবন এখন মূলত ব্যবহার হয় শিক্ষার্থীদের ক্যান্টিন হিসেবে। দোতলায় পত্রিকা পাঠ বা নামমাত্র ইনডোর গেমসের ব্যবস্থা থাকলেও এই ভবন এখন অবহেলা ও জীর্ণতার প্রতিশব্দ।
তবে জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী ক্যাম্পাসে নতুন করে উত্তাপ ছড়াচ্ছে চাকসু নির্বাচনের ইস্যু। দীর্ঘ ৩৪ বছরের খরা কাটিয়ে দেখা দিয়েছে আশার আলো। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনে ছাত্রলীগমুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় যেকোনো সময়ের চেয়ে চাকসু নির্বাচনের উপযোগী বলে মনে করছেন ছাত্র সংগঠনের নেতারা।
জাতীয় নির্বাচনের আগেই নতুন নীতিমালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের দাবি ছাত্র সংগঠনের নেতাদের।
নতুন ক্যাম্পাসে ছাত্র সংগঠনগুলো আগের মতো সংঘাত পূর্ণ অবস্থানে নেই মনে করে প্রশাসনও। এরইমধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ দিতে ৭ সদস্যের নীতিমালা কমিটি গঠন করেছে তারা। জুনের আগেই নির্বাচনের ঘোষণা দিলেন কমিটির আহ্বায়ক।
১৯৭০ সালে প্রথম ও দীর্ঘ ৫৮ বছরে মাত্র ৬ বার অনুষ্ঠিত হয় চাকসু নির্বাচন। সর্বশেষ ১৯৯০ সালে চাকসু ভিপি নির্বাচিত হন নাজিম উদ্দিন ও জিএস হন আজিম উদ্দিন। ছাত্র সংগঠনগুলোর কোন্দলে এক ছাত্রসমাজ নেতা নিহতের জেরে সেই বছর থেকে বন্ধ করা হয় চাকসুর সব ধরনের কার্যক্রম।