দেশে এখন
0

সংবাদ প্রচারের পর টাঙ্গাইলের হেলথ প্রোভাইডার মিতুকে শোকজ

এখন টেলিভিশনে সংবাদ প্রচারের পর টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের ভাটচান্দা মাগুরাটা কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার মজিদা জাহান মিতুকে শোকজ করা হয়েছে। গতকাল (বুধবার, ২ জানুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শোকজ করেন।

এর আগে এখন টেলিভিশনের অনলাইন পোর্টালে 'অনিয়মিত হেলথ প্রোভাইডার, ভোগান্তিতে টাঙ্গাইলের ২০ হাজার মানুষ' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নজরে আসে। এর পরই তাকে শোকজ করা হয়।

আজ (বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ শরিফুজ ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ রয়েছে, সপ্তাহে শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা হতে ৩টা পর্যন্ত অফিস করার নিয়ম থাকলেও মজিদা জাহান মিতু ২০১৬ সালে যোগদানের পর থেকে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিনের বেশি অফিস করেন না। ভুক্তভোগীরা জানান, ১০টার পর অফিসে এসে ১২টার আগেই চলে যান।

তাদের দাবি, এতে স্থানীয় সাধারণ ও নিম্নআয়ের মানুষের টাঙ্গাইল শহরে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়। টাকার বিনিময়ে সরকারি ওষুধ বিতরণ ও রোগী এবং রোগীর স্বজনদের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে এই হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারের বিরুদ্ধে।

সবশেষ বুধবার ফটকে তালা দেখে সাংবাদিক পরিচয়ে ফোন করলে মজিদা জাহান মিতু মুঠোফোনে বলেন, 'আমার ল্যাপটপ নষ্ট হয়েছে। তাছাড়া অফিসে মাসিক রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তাই অফিসে আজ আসবো না।’

পাঁচ মিনিট পর আবার ফোন করে বলেন, 'আমি এখনই আসতেছি।’ ১৫ মিনিট পর ১২টায় তিনি অফিসে ফিরে আসেন। বিকেল ৩টা পর্যন্ত অফিস করার নিয়ম থাকলেও তিনি দুপুর দেড়টায় অফিস ত্যাগ করেন বলেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।

ভাটচান্দা মাগুরাটা কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শওকত হোসেন বলেন, 'বুধবার তাকে ক্লিনিকে না পেয়ে ফোন করলে তিনি আমার ফোন রিসিভ করেননি। এ ক্লিনিকের মাধ্যমে তিন ওয়ার্ডের ২০ হাজারের অধিক মানুষ চিকিৎসা সেবা পাওয়ার কথা। কিন্তু অনেকেই বঞ্চিত হচ্ছেন।'

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, 'মিতুকে শোকজ করা হয়েছে। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে এর জবাব চাওয়া হয়েছে।'

এসএস