২০২৪ এ জনশক্তি রপ্তানিতে শীর্ষে ছিল কুমিল্লা

দেশে এখন
0

কুমিল্লায় ২০২৩ এর তুলনায় ২০২৪ সালে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৬ শতাংশ। এ বছর জনশক্তি রপ্তানিতেও শীর্ষে এই জেলা। তবে, লোভনীয় ফ্রি ভিসায় প্রবাসে গিয়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন অনেকে। এমন অবস্থায় দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি নিশ্চিতে সরকারি প্রশিক্ষণ আহ্বান জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

মধ্যপ্রাচ্যের তরুণ উদ্যোক্তা ফরহাদ আলম জনশক্তি রপ্তানি ও রেমিট্যান্স অর্জনে দেশের শীর্ষ জেলা কুমিল্লায় ২০২৪ সালে ১১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা দেশে পাঠিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। গেল বছর জেলার সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়ে প্রথম হয়েছিলেন তারই চাচা ইয়াছিন আরাফাত। তাদের ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি বেকারত্ব দূর করেছে আরো অনেকের।

ফরহাদ আলম বলেন, ‘সবাইকে ইনকাম ট্যাক্সের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তাহলে সে আর অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আনবে না।’

কুমিল্লাকে সমৃদ্ধির অনন্য উচ্চতায় এগিয়ে নিচ্ছেন প্রবাসীরা। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত কুমিল্লা থেকে প্রবাসে গিয়েছেন ৯১ হাজার ৩৭৯ জন। যা দেশের মোট জনশক্তি রপ্তানির ১০ শতাংশ। এবছর জেলায় রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৩শ’ মিলিয়ন ইউএস ডলার। গেল বছরের তুলনায় যা ২৬ শতাংশ বেশি।

রাষ্ট্রের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে দক্ষ জনশক্তি। তাই প্রবাসগামীদের দক্ষতা বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

কুমিল্লা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক রাহেনুর ইসলাম বলেন, ‘যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর যারা প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ করছে। সবার কাছে আমরা সেবা পৌঁছে দিতে রেফারের সিস্টেম চালু করতে চাই।’

কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়সার বলেন, ‘যারা প্রবাসে যাচ্ছে তারা যেন প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশের বাহিরে যায় তাহলে আমরা বর্তমানে যে রেমিট্যান্স পাচ্ছি তার থেকে বেশি অর্জন করতে পারবো।’

তবে, রয়েছে বিভিন্ন এজেন্সির ফ্রি ভিসার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হওয়ার গল্পও। অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা রামরুর তথ্য বলছে বিদেশে কাজ না পাওয়াদের ৫০ শতাংশই ফ্রি ভিসায় গিয়েছেন।

রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের জেলা সমন্বয়কারী শান্তা সূত্রধর বলেন, ‘অভিবাসনের যে ব্যয় বাড়ছে তা আসলে সিন্ডিকেটের কারণে বাড়ছে। এখানে কাজ করার একটা সুযোগ রয়েছে।’

ইএ