৫ আগস্টের পর গঠন হয় অন্তর্বর্তী সরকার। পরে কিছুটা ছন্দ হারানো মাঠ প্রশাসন ধীরে ধীরে তাদের নিয়মিত কার্যক্রম ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
এমন প্রেক্ষাপটে বিভাগীয় কমিশনারদের সাথে সকালে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধান উপদেষ্টা।
এ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা জানান, পুলিশের মনোবল এরই মধ্যে ফিরে আসতে শুরু করেছে। অপরাধী পুলিশ সদস্যদের বিচার হবে বলে এসময় জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ মনোবল হারিয়েছে, তাদের ওপর অনেক চাপ রয়েছে। যেহেতু গণঅভ্যুত্থানের সময় তারা যে ভূমিকা পালন করেছে, সেজন্য মানুষ তাদের ওপর ক্ষুব্ধ। যারা দোষী তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে, তবে যারা নির্দোষ তারা যেন নিশ্চিতভাবে তাদের ভূমিকা পালন করতে পারে। মানুষ যেন দোষী ও নির্দোষ পার্থক্যটা বুঝতে পারে।’
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন ফসলের বীজের এবার কোনো ঘাটতি হবে না।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা একটা বড় ইস্যু। এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। এখন নিয়ন্ত্রণে আনার আরো বেশি সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখন তাই আমাদের দ্রব্যমূল্য ওপর বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন। কৃষকদের বীজ, সারসহ নানা কিছু অভাব হয় যা আমরা প্রায় শুনে থাকি। তাই সার বীজ সঠিক মতো যাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।’
এসময় দেশগঠনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের কাজ করার নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যে গণঅভ্যুত্থানের জন্ম হলো সেটাকে ধারণ করে এবং সেটার স্পিরিটকে প্রসারিত করে এমন কাজ কর্ম আমরা করব। যাতে মানুষ মনে করে হ্যাঁ একটা বড় পরিবর্তন হয়েছে। পরিবর্তনটা যেন মানুষের চোখে ধরা পড়ে। আমাদের সামনে উপস্থিত এই সুযোগটা যদি আমরা না বুঝি তাহলে আমরা ব্যর্থ হলাম। উপর থেকে কাগজপত্রের মাধ্যমে নির্দেশনা আসছে সেটা ছাড়াও নিজের থেকে আমাদের কাজকে সম্প্রসারিত করতে হবে।’
৫ আগস্টের পর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এটিই প্রথম কোনো বিভাগীয় সম্মেলন।