এর আগে বৈঠকে যোগ দিতে গণঅধিকার পরিষদের ১০ সদস্যদের প্রতিনিধিদল আসেন এলডি হলে। এরপর রাষ্ট্রের ক্ষত সংস্কারের লক্ষ্যে জনপ্রশাসন,সংবিধান,দুর্নীতি,নির্বাচনব্যবস্থা সহ মোট ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ঐকমত্যে পৌঁছাতে গেল ১২ ফেব্রুয়ারি গঠন হয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এরপর পালা করে শুরু হয় বৈঠক। সবশেষ ১৯ টি দলের সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আলোচনা করে।
বৈঠক শুরুর সূচনা বক্তব্যে সংস্কারের যেসব সিদ্ধান্ত জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে গৃহীত বা একমতে পৌঁছে যাবে- তা ই জাতীয় বা জুলাই সনদ আকারে দেশবাসীর সামনে হাজির হবে বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. আলী রীয়াজ আরো বলেন, ‘জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে কোনোভাবেই ব্যর্থ হওয়া যাবে না। জাতীয় সনদ তৈরির প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আর এটিই একমাত্র লক্ষ্য।’
এরপর ৪ ঘণ্টার বৈঠক শেষে নুরুল হক নুর জানান, ১৬৬ টি সুপারিশের মধ্যে ১২৭ টি তে ঐকমত্য হয়েছে গণ অধিকার পরিষদ, ২৩ টি বিষয়ে আংশিক। নুরু বলেন, সব মিলিয়ে ২ বারের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না এমন প্রস্তাবের সাথে তাদের দ্বিমত নেই।
এ সময় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘যে কোন মূল্যে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রস্তাবিত সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।’
গণঅধিকার পরিষদ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সূচনা করেছিলো বলেও দাবি করেন নুরুল হক নুর।
জুলাই চেতনা, আকাঙ্ক্ষা পূরণে ৫ টি কমিশনে ১৬৬ টি সুপারিশ নিয়ে আলোচনা চলছে ঐকমত্য কমিশনের। আগামী নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার, দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে। পরে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হবে। ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এ বৈঠক শুরু হয়েছিল।