দেশে এখন
0

প্রবাসীদের দাবি দ্রুত বিদেশে পুনর্বাসন, আলোচনায় বসার আশ্বাস প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টার

বহাল তবিয়তে ৫ আগস্টের আগে স্বৈরাচারের পক্ষে অবস্থান নেয়া দুবাইয়ের আওয়ামী লীগ নেতা হাইকমিশনের কর্মকর্তারা। অথচ ব্যবসা ও চাকরি হারিয়ে নিঃস্ব জুলাই আগস্টে আন্দোলনের পক্ষে অবস্থান নিয়ে দুবাইয়ে আটক ও দেশে ফেরা প্রবাসীরা। সরকারের দেয়া ৫০ হাজার টাকা সহায়তা কোনো কাজে আসবে না জানিয়ে, প্রবাসীদের দাবি- দ্রুত বিদেশে পুনর্বাসনের। সমস্যা সমাধানে আলোচনায় বসার আশ্বাস প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের।

জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর স্বৈরাচার হাসিনার নির্মম হত্যাযজ্ঞ মেনে নিতে না পেরে বিদেশের মাটিতেও সোচ্চার ছিলেন অনেক প্রবাসী। রাজপথে নেমে একাত্মতা প্রকাশ করেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।

ছাত্র-জনতার ডাকে রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করে দেন বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশিরা। আর্থিক সহায়তাও করেন অনেকে। তবে, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি হলেও রাষ্ট্রীয় আইন ভঙ্গ করায় বেশ কিছু বাংলাদেশিকে আটক ও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় আমিরাত সরকার।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পাওয়ার পর আলোচনার মাধ্যমে ধাপে ধাপে ফেরত আনা হয় ১৯০ প্রবাসীকে। তবে, দুবাইয়ে পুনরায় ফেরার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায়, চাকরি কিংবা ব্যবসা হারিয়ে নিঃস্ব প্রবাসীরা। এবস্থায় তাদের আর্থিক ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন- দুর্বিষহ জীবনযাপন করা রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের। যদিও কিছুটা হলেও কষ্ট লাঘবে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তার উদ্যোগ নেয় প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। তবে, শুধু সহায়তা নয় বরং আবারও বিদেশের মাটিতে কাজে ফিরতে চান তারা।

৫ আগস্টের আগে স্বৈরাচার হাসিনার পক্ষ নিয়ে দুবাইয়ে বাংলাদেশিদের ধরিয়ে দেয়া হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতারা- এখনও বহাল তবিয়তে থাকায় ক্ষুব্ধ প্রবাসীরা। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।

যদিও আওয়ামী লীগের দোসর আমলাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না, তা সরাসরি না বললেও, প্রবাসীদের দাবি নিয়ে আলোচনায় বসার আশ্বাস দেন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

দুবাইয়ে এখনও বেশকিছু বাংলাদেশি আটক আছে জানিয়ে, তাদের ফেরত আনতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি প্রবাসীদের।

ইএ